উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী শুভর দ্বিতীয় রোবট ‘সেবক’
রোবট ‘রবীন’ এর পর রোবট ‘সেবক’- এভাবেই একের পর এক রোবট তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা গ্রামের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী শুভ কর্মকার। রোবট ‘সেবক’ ডাক্তারে নির্দেশ মেনে রোগীর সেবা করতে পারে। রোগীকে মাস্ক পরানো এমনকি রোগীর ব্যবহার্য জিনিসপত্র আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি দিয়ে জীবাণুমুক্তও করতে পারে। এমনকি রোগীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।
রোবট উদ্ভাবক শুভ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কোভিড রোগীদের সেবার কথা মাথায় রেখে সে দ্বিতীয় রোবটটি তৈরি করেছে। দুই বছর আগে তার তৈরি রোবট ‘রবীন’ বাংলায় কথা বলতে পারত।
শুভ বলেন, ‘কোভিড মহামারির সময় যখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তখন এই রোবট ‘সেবক’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
শুভ জানায়, ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি সে রোবট ‘রবীন’ তৈরি করেছিল রোবট ‘সোফিয়া’র অনুপ্রেরণায়। রোবট সোফিয়া শুধু ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেও ওই সময়ের দশম শ্রেণির ছাত্র শুভ কর্মকারের ‘রবিন’ বাংলায় কথা বলতে পারত, প্রশ্নোত্তরে অংশ নিতে পারত। কোথাও আগুন লাগলে বা গ্যাস লিকেজ হলে সংকেত পাঠাতে পারত।
শুভ বলেন, মানুষকে সেবা করার লক্ষ্যেই সেবক রোবট তৈরি করা হয়েছে।
‘এই রোবট ডাক্তারের সংকেতে রোগীকে ওষুধ খাওয়ানো, মাস্ক পরানো এমনকি কোভিড রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে সঞ্চিত পানি ভেঙে অক্সিজেন তৈরি করে তা অন্তত ১৪/২০ জন রোগীকে সরবরাহ করতে পারবে। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে রোবট রোগীর সঙ্গে গল্প করতে পারবে এমনকি প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারবে।
এছাড়াও রোগীর বর্জ্য ডাস্টবিনে ফেলা হলে সেবকের শরীরে থাকা আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি দ্বারা, তা জীবাণুমুক্ত করতে পারবে।
শুভর ইচ্ছা রোবোটিক্স নিয়ে উচ্চতর পড়ালেখা করে আরও উচ্চ প্রযুক্তির নতুন নতুন রোবট তৈরি করা।
Comments