যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে রাজশাহীর আম
রাজশাহী থেকে যুক্তরাজ্যে আম রপ্তানি শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বাঘা উপজেলা থেকে যুক্তরাজ্যে রপ্তানির জন্য তিন টন আম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বছর বাঘা থেকে প্রায় ৩০০ টন আম রপ্তানির পরিকল্পনা হয়েছে। গত বছর এখান থেকে কোনো আম রপ্তানি হয়নি। তবে, তার আগের বছর বাঘা থেকে ৩৫ টন আম রপ্তানি হয়েছিল বিদেশে।'
তিনি জানান, রাজশাহী জেলায় উৎপাদিত আমের অর্ধেক উৎপাদন হয় বাঘা উপজেলায়। এখানে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়।
তিনি আরও জানান, আজ কারিতা কেআইএফসি নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বাঘার আমচাষী শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে তিন টন আম কিনে যুক্তরাজ্যে রপ্তানির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
আমচাষী শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বাঘা উপজেলায় ২০ জন চাষি কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে আম উৎপাদন করি। এই আম ইউরোপের বাজারে রপ্তানির জন্য উৎপাদন হয়।'
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই আম উৎপাদনের সার্বিক তত্ত্বাবধান করে বলে জানান তিনি।
তবে, আম রপ্তানির ক্ষেত্রে বাঘায় আমের জন্য কোনো প্যাকেজিং হাউজ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই আম যাবে ঢাকার প্যাকেজিং হাউজে। এভাবে যেতে যেতে কিছু আম নষ্ট হয়ে যায়।'
বাঘা থেকে আম প্যাকেজিং করে আকাশপথে সরাসরি ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
কারিতা কেআইএফসি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুরজিত বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজারে আমের চাহিদা আছে। আম উৎপাদনের দিক থেকে প্রথম চীন, বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।'
তবে, ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের আমের প্রবেশাধিকার খুব কম উল্লেখ করে তিনি জানান, 'আম রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট। বাংলাদেশের আমে এই ট্রিটমেন্ট হয় না এবং আমে পোকা হওয়ার কারণে বাংলাদেশ আম রপ্তানিতে পিছিয়ে আছে।'
বাংলাদেশ আম উৎপাদনে অনেক এগিয়ে থাকলেও আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণে আরও যত্ন নিতে পারলে আম রপ্তানিতে আরও এগিয়ে যেতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Comments