সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি মার্কিন প্রেস ক্লাবের

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব ও ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব জার্নালিজম ইনস্টিটিউট। এক যৌথ বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির মাধ্যমে রোজিনাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গত ১৮ মে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আদালতে নেওয়ার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব ও ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব জার্নালিজম ইনস্টিটিউট। এক যৌথ বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির মাধ্যমে রোজিনাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বিবৃতিতে ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট লিসা নিকোল ম্যাথিউস ও এনপিসি জার্নালিজম ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট অ্যাঙ্গেলা গ্রেইলিং কেইন জানান, ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংকটে স্বাধীন সাংবাদিকদের জনস্বার্থের জন্য কাজ করা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা একজন সাংবাদিককে চুপ করানোর চেষ্টা করছেন। ঘটনাটি বিশ্বকে ভাবাচ্ছে যে, তারা আসলে কী লুকানোর চেষ্টা করছেন?’

রোজিনা ইসলামকে হয়রানি ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এসএইচআর) বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তার মুক্তির আগ পর্যন্ত তার নিরাপত্তা ও সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এসএএইচআর সভাপতি ড. রাধিকা কুমারস্বামী ও সহ-সভাপতি ড. রোশমি গোস্বামী স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে সাংবাদিকরা তাদের কাজ ও বাকস্বাধীনতা চর্চার জন্য হেনস্তা হতে পারেন না। বাংলাদেশ সরকারকে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব পালনের জন্য ভয় দেখানো বন্ধ করতে হবে। গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ আইনের অস্পষ্ট সংজ্ঞা ব্যবহার করে সমালোচকদের হয়রানি ও তাদের ওপর বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ করতে হবে।’

এসএইচআর বাংলাদেশ সরকারকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও সাংবাদিক রোজিনাকে হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে তাত্ক্ষণিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ঔপনিবেশিক যুগের ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে’র ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ জানাই। আইনটি বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বর্ণিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে না। আইনটি তাৎক্ষণিকভাবে পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাই।’

Comments