রাসায়নিক সারের চাহিদা ৪ লাখ টন বাড়ানো হয়েছে

স্টার ফাইল ছবি

চলতি বছরের তুলনায় আসন্ন অর্থবছরে দেশে কৃষিকাজের জন্য রাসায়নিক সারের চাহিদা চার লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য রাসায়নিক সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ৬৬ লাখ টন। চলতি ২০২০-২১ সালে এই চাহিদা ছিল ৬২ লাখ টন।

ফসলি জমি বৃদ্ধি, ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং হাইব্রিড ফসলের সম্প্রসারণের কারণে সারের চাহিদা বাড়ানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকদের এখন সার নিয়ে কোন সমস্যা নেই।’

তিনি জানান, সরকার দেশে সারের ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বলেই সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার যেহেতু একদিকে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করছে। অন্যদিকে, সারের দাম হ্রাস করছে এবং কৃষকদের দোরগোড়ায় সার পৌঁছে দিচ্ছে।’

কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক সমালোচনা করে বলেন, ‘আগের বিএনপি-জামায়াত সরকার দুইবার সার ব্যবস্থাপনায় মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং কৃষকরা সারের জন্য আন্দোলন করেছে।’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মূলত ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি সারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই সার্বিকভাবে সারের চাহিদা বেড়েছে। চলতি বছরে ইউরিয়ার চাহিদা ছিল ২৫ দশমিক ৫০ লাখ টন, টিএসপির চাহিদা পাঁচ লাখ টন ও ডিএপির চাহিদা ছিল ১৫ লাখ টন।

আগামী বছরের জন্য বাড়তি চাহিদার চার লাখ টনের মধ্যে ইউরিয়ার চাহিদা বেড়েছে ৫০ হাজার টন, টিএসপি দুই লাখ টন ও দেড় লাখ লাখ টন ডিএপির চাহিদা বেড়েছে।

এ ছাড়া সাড়ে সাত লাখ টন এমওপি, ৩২ হাজার টন করে এমএপি ও এনপিকেএস, সাড়ে পাঁচ লাখ টন জিপসাম, এক লাখ ৪১ হাজার টন জিংক সালফেট, পাঁচ হাজার টন অ্যামোনিয়াম সালফেট, ৯০ হাজার টন ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং ৫১ হাজার টন বোরন সারের চাহিদা অপরিবর্তিত আছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার কারণে আবাদি জমি বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘আবাদি জমি বৃদ্ধি ছাড়াও, আমরা ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে পেরেছি। আমরা অনেক জমি তিন থেকে পাঁচ ফসলি জমিতে পরিণত করেছি। বিশেষ করে আমরা হাইব্রিড ফসলের চাষ বাড়াচ্ছি।’

‘এগুলোর জন্য বেশি সারের প্রয়োজন,’ বলেন তিনি।

এছাড়া বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করেও সারের চাহিদা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। কারণ, আশঙ্কা আছে করোনার কারণে সার আমদানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভায় অন্যান্যদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং কৃষি বিষয়ক সংসদীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Killing of trader in old Dhaka: Protests erupt on campuses

Protests were held on campuses and in some districts last night demanding swift trial and exemplary punishment for those involved in the brutal murder of Lal Chand, alias Sohag, in Old Dhaka’s Mitford area.

2h ago