ত্বকী হত্যা মামলায় পলাতক আসামি ভ্রমর কারাগারে

তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার পলাতক আসামি সুলতান শওকত ভ্রমরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে তিনি নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওসার আলমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে শওকত ভ্রমরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ত্বকী হত্যার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভ্রমর জামিনে বের হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিল। যার জন্য আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।’

ভ্রমর ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেছিলেন যে ত্বকী হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আজমেরী ওসমান। তবে, ২৮ নভেম্বর ভ্রমর জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করেন। ২০১৪ সালের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ভ্রমর প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ও পরে দেশ ত্যাগ করেন।

প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে ত্বকী নারায়নগঞ্জের শায়েস্তাখান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ (নিখোঁজের একদিন পর ও মরদেহ উদ্ধারের একদিন আগে) এ লেভেল পরীক্ষার রেজাল্টে পদার্থবিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছিল যা সারাদেশে সর্বোচ্চ। এছাড়া ও লেভেল পরীক্ষাতেও সে পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন পরীক্ষাতে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল।

পরে ৮ মার্চ সকালে চাড়ারগোপে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ত্বকী হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে আট জনই পলাতক। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের মধ্যে দুইজন আসামি ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু এ হত্যাকান্ডের আট বছর পার হলেও এখনও পর্যন্ত এ মামলার অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: 

কেন হয় না ত্বকী হত্যার বিচার 

বিচার চেয়ে কাটছে সময়

‘প্রতি বছর ত্বকীর সঙ্গে একেকটা নাম যোগ হয়, এই হচ্ছে আমাদের উন্নয়নের ধরন’

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

31m ago