সাকিবের যে শটে 'অস্বস্তি', সেটাই ঝালাই করে নিলেন তামিম
মাঠে গিয়ে প্যাড-গ্ল্যাভস পরতে দেরি করেননি তামিম ইকবাল। দ্রুত তৈরি হয়ে সেন্টার উইকেটে চলে যান। সেখানে পেসারদের বলে অনুশীলন শুরু করলেন। করলেনও লম্বা সময়। সাকিব আল হাসান তখন উত্তর-পশ্চিম কোণে নেটে ব্যাট করছিলেন।
অবশ্য নেটে ব্যাট করার আগে কিছুটা সময় জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোর সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। এরপর ঘাসে শুয়ে ক্যালেফাতোর অধীনে স্ট্রেচিং করলেন কিছুটা সময়। এরপর যান নেটে। নেট বোলাররা সবাই ছিলেন স্পিনার। তাদের বলে ব্যাট করতে মাঝে মধ্যেই অস্বস্তি বোধ করছিলেন তিনি। সদ্য ইনজুরি থেকে ফেরা এ তারকার জন্য এটা খুব স্বাভাবিকও বটে। তবে অস্বস্তিটা ছিল সুইপ শট খেলতে গিয়ে।
তখন এক নেট বোলারকে ডেকে তখন সাকিব বলেন, ‘অফ স্টাম্পের বাইরে বল দাও। এমন বল দিও না, যেন সুইপ খেলতে হয়।’
মূলত সুইপ শট খেলতে গেলে কুঁচকিতে টান লাগছিল সাকিবের। যে কারণে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতেই এমন সিদ্ধান্ত। অন্য সব শটে অবশ্য ব্যাট করতে কোনো বেগ পেতে হয়নি এ অলরাউন্ডারের।
ওইদিকে সেন্টার উইকেটে তামিমের অনুশীলন শেষের পথে। সাকিব অপেক্ষায় থাকেন। শেষ হলে যোগ দেন পেসারদের বল মোকাবেলা করতে। আর তামিম ফিরে আসেন নেটে, যেখানে এতক্ষণ অনুশীলন করছিলেন সাকিব।
মজার ব্যাপার, এসেই সেই অনুশীলন শুরু করেন তামিম, যে শটে সাকিব এতক্ষণ অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। প্রথমে একজন বাঁহাতি স্পিনারকে খোঁজেন তামিম। কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর অনুমতি নিয়ে তাইজুল ইসলামকে ডাকেন তিনি।
শুরুতে রাজী ছিলেন না তাইজুল। পরে কোচের কথায় বোলিং করতে শুরু করেন তিনি। তবে বল যেখানেই রাখেন না কেন, তামিম খেলেন একটাই শট- সুইপ। কিছু ভিন্নতা অবশ্য রয়েছে। কখনো স্বাভাবিক সুইপ, কখনো রিভার্স সুইপ।
এক পর্যায়ে তাইজুল বলে ওঠেন, ‘ভাই বুঝতে পারছি না, আপনি কী করতে চাইছেন?’
তামিমের উত্তর, ‘বোঝা লাগবে না। তুই তোর বল কর, আমি আমার অনুশীলন করি।’
তাইজুল পরে হয়তো বুঝতে পেরেছেন কিংবা পারেননি। তবে একের পর এক সুইপ শট খেলে নিজেকে বেশ ঝালিয়ে নিলেন তামিম। শেষ বলটি খেলার আগে তামিম বললেন, ‘একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে যাক, জয়ের জন্য ১ বলে ৩ রান চাই। পারলে ঠেকা।’
তাইজুলের লেগ মিডল স্টাম্পে রাখা বলটি কিছুটা লাফিয়ে ওঠে। তামিম এবার আর সুইপ নয়, করলেন পুল। আবেদন তাইজুলের। আর ওইদিকে দুই হাত উঁচিয়ে ‘ইয়ে’ বলে চিৎকার তামিমের।
তাইজুল বলেন, ‘ভাই এই দিকে চারটা ফিল্ডার, চার হবে না।’
কিন্তু তামিম মানতে নারাজ, ‘এই শট কেউ থামাতে পারবে না।’
এ নিয়ে অবশ্য বাদানুবাদ হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে শনিবারের অনুশীলন শেষে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারই হাসি মুখে নেট ছাড়েন।
Comments