অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা আলাউদ্দিন আলীর জন্মদিন আজ

আলাউদ্দিন আলী। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

বাংলা গান তথা বাংলা চলচ্চিত্র গানের কিংবদন্তি নাম আলাউদ্দিন আলী। একইসঙ্গে সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার হিসেবে বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দিন আলী। আজ আলাউদ্দিন আলীর ৬৮তম জন্মদিন। মৃত্যুর পর এটিই তার প্রথম জন্মদিন।

বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রের অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। তার সুরারোপিত গানের মধ্যে আছে, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয় চোখের জলে কথা কয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে আমি বলি কমেরে’, ‘আমায় গেঁথে দাওনা মাগো একটা পলাশ ফুলের মালা’, ‘শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে’, ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না’, ‘পারি না ভুলে যেতে, স্মৃতিরা মালা গেঁথে’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘আমার মনের ভেতর অনেক জ্বালা আগুন হইয়া জ্বলে’, ‘হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ’ ইত্যাদি।

‘গোলাপি এখন ট্রেনে’ (১৯৭৯), ‘সুন্দরী’ (১৯৮০), ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। মোট আট বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

আলাউদ্দিন আলীর লেখা, সুর করা ও সংগীত পরিচালনায় অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। চলচ্চিত্র, বেতার, টেলিভিশন মিলে প্রায় হাজার পাঁচেক গান তৈরি করেছেন তিনি। ২০২০ সালের ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন এই গুণী সংগীত ব্যক্তিত্ব।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago