পাঁচ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম: মিম
অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকদের মন জয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। তাকে শুধু অভিনেত্রী বললে ভুল হবে, কারণ তিনি সেরা সুন্দরী হিসেবে পরিচিত। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৭’এর প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন মিম।
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার খেতাব জেতার পর থেকে চলচ্চিত্র, নাটক, বিজ্ঞাপন সবখানেই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন এই অভিনেত্রী।
মিম ‘জোনাকীর আলো’ সিনেমায় অভিনয় করে জিতেছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে আছে, আমার আছে জল, আমার প্রাণের প্রিয়া, জোনাকীর আলো, সুলতান, সুইট হার্ট, ব্ল্যাক, পদ্ম পাতার জল, পাষান, আমি নেতা হবো, সাপলুডু।
১০ নভেম্বর বিদ্যা সিনহা মিমের জন্মদিন। বিশেষ দিনের আগের দিন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন তার অভিনয় জীবনের পাঁচ টার্নিং পয়েন্ট।
‘আমার এই অভিনয় জীবনের প্রথম টার্নিং পয়েন্ট হলো লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। এখানে না এলে মিডিয়ার সঙ্গে নিজেকে জড়ানো হতো না। ২০০৭ সালে এই প্রতিযোগিতায় সেরা নির্বাচিত হয়েছিলাম। তারপর সবখানে ছড়িয়ে পড়ি।
হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’র মাধ্যমে আমার সিনেমায় অভিষেক হয়। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। তার মতো একজন লেখক, পরিচালকের সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেছি। এই সিনেমায় অভিনয় করার আগে স্যারের একটা নাটকে অভিনয় করে পাঁচ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম। সেটাই আমার প্রথম পারিশ্রমিক,’ বলেন মিম।
‘খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকীর আলো’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলাম। এটা আমার অভিনয় জীবনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। এই সিনেমায় আমার বিপরীতে ছিলেন মামনুন হাসান ইমন,’ যোগ করেন তিনি।
মিম বলেন, ‘লেখালেখি করা আমার জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আমার লেখালেখির জীবনে ২০১২ সালে প্রথম গল্পের বই ‘শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভেজা’ প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১৩ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয় উপন্যাস ‘পূর্ণতা’।’
তিনি আরও বলেন, ‘কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করাটা আমার অভিনয় জীবনের আনন্দদায়ক ঘটনা। কলকাতার পরিচালক রাজা চন্দ পরিচালিত ‘সুলতান’ সিনেমায় ওখানের সুপারস্টার জিতের সঙ্গে অভিনয় করে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। বাংলাদেশের বাইরে মানুষ আমাকে চিনেছে।’
Comments