সেই আন্দোলন নিয়ে আর কথা বলতে চান না বেশিরভাগ ক্রিকেটার
২১ অক্টোবর ২০১৯। দেশের ক্রিকেট স্তব্ধ করে দিয়ে অভূতপূর্ব এক আন্দোলনে গিয়েছিলেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটাররা। প্রথমে ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটে যাওয়ার পরে তাতে যোগ হয় আরও দুই দফা। সেই দাবিদাওয়ার কিছু কিছু তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ হয়, কিছু কিছুর আংশিক, কিছু দাবি ছিল সময়সাপেক্ষ আর কিছু দাবি এখন আর আলোচিতই নয়। নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে সেসময় আন্দোলনে যাওয়া ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই এক বছর পর আর গণমাধ্যমে তা নিয়ে কথা বলতে রাজী নন।
জাতীয় দলে খেলেন, জাতীয় দলে আগামীতে খেলতে পারেন কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত, এমন ক্রিকেটারদের কজন এই বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে নিজেদের দূরে রেখেছেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে ঝাঁকুনি দেওয়া ঘটনাগুলোর প্রথম কাতারে রাখতে হবে ক্রিকেটারদের এই আন্দোলন। তীব্রতা নিয়ে এলেও এর স্থায়ীত্ব ছিল অল্প সময়ের। ক্রিকেটারদের কঠোর অবস্থান বিসিবির সঙ্গে সভায় বসে অনেকটাই মিইয়ে যায়, দ্রুত কিছু দাবি মেনেও নেওয়া হয়। সপ্তাহ দশদিনের মধ্যে জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় দায়ে সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার পর ক্রিকেটারদের এই আন্দোলনের স্পিরিটও যেন ভিন্ন মোড় নেয়।
বাংলাদেশের পেশাদার ক্রিকেটাররা এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই নিজেদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পেতে চেয়েছিলেন। নেতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সাকিবকেই। যুগান্তকারী ঘটনার এক বছর পূর্তিতে এই ইস্যুতে তাদের চুপ থাকা প্রশ্ন তুলেছে, তারা এখন আর সেই কন্ঠস্বর খুঁজে পাচ্ছেন কীনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রিকেটারদের কেউ কেউ জানান, এই আন্দোলনে গিয়ে নিজেরা অন্যের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়ে গেছেন কীনা তাও এখন মিলিয়ে দেখছেন। এদের কেউই ইতিবাচক, নেতিবাচক কোন মন্তব্যই করতে রাজী না।
তবে দ্য ডেইলি স্টারের যোগাযোগে সাড়া দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা এনামুল হক জুনিয়র। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ে ম্যাচ সেরা এই বাঁহাতি স্পিনার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের আন্দোলনের দিন একটি দাবি পাঠ করেছিলেন।
তার মতে, আন্দোলনের ইতিবাচক ফল বেশ ভালোভাবেই পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেটাররা। তবে এই আন্দোলনের দাবিদাওয়ার মধ্যে নিজেদের ভুলও খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
আন্দোলনের সুফল
আন্দোলনের চতুর্থ দাবি ছিল- ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি অন্তত এক লাখ টাকা করতে হবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বাড়াতে হবে।’
পঞ্চম দাবিতে ছিল ‘জাতীয় লিগের দৈনিক ভাতা ও ভ্রমণ ভাতা, স্থানীয় পর্যায়ে অনুশীলন সুবিধা বাড়ানো’ নিয়ে।
এই দাবিগুলো পুরোপুরি না হলেও অনেকাংশেই পূরণ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় লিগের প্রথম স্তরে ম্যাচ ফি ৩৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্তরে ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। বেড়েছে দৈনিক ভাতাসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা। এতে সন্তুষ্ট এনামুল এই দাবিতেই সবচেয়ে সুফল প্রাপ্তি দেখছেন, ‘জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলতে আগে বাসে করে আমাদের কক্সবাজারের মতন দূরের ভেন্যুতে যেতে হতো। এখন আমরা বিমানের টিকেট পাচ্ছি। যেখানে বিমানের ব্যবস্থা নেই, সেখানে যাতায়াত ভাড়া বেশি পাচ্ছি। খাবারের মান বেড়েছে। জাতীয় লিগের ম্যাচ ফি বেড়েছে। চুক্তিভুক্ত ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর প্রক্রিয়াও আছে। কোয়াবের সঙ্গে আমাদের আলাপ হচ্ছে। আমরা আশ্বস্ত আছি যে, এসব সুবিধা আরও বাড়বে।’
এনামুল জানান, স্থানীয় পর্যায়ে অনুশীলন সুবিধা বাড়ার ব্যাপারেও তারা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন, ‘সিলেটে আমরা খুব ভালো অনুশীলন সুবিধা পাচ্ছি। আমি শুনেছি, অন্য জায়গাতেও তা বাড়ার প্রক্রিয়ায় আছে। আমরা আশাবাদী।’
নিজেদের ভুল দাবি!
ক্রিকেটারদের দাবির দ্বিতীয় দফায় ছিল- ‘ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ হতে হবে আগের মতো করে। সেখানে পারিশ্রমিকের কোনো মানদণ্ড থাকবে না। কোন ক্লাবে, কত টাকায় খেলবেন, সেই স্বাধীনতা দিতে হবে ক্রিকেটারদের।’
ক্রিকেটারদের এই দাবি মানা হয় তাৎক্ষণিকভাবে। এতে করে বাতিল হয়ে যায় বিসিবির ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতি। তবে এনামুলের মতে, এই দাবি ছিল তাদেরই ভুল এবং এতে করে ক্লাবের কাছ থেকে ক্রিকেটারদের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বোর্ডের দায়বদ্ধতা কমে গেছে, ‘এটা আমাদের ভুল দাবি ছিল। এতে করে বোর্ডের দায়বদ্ধতা কমে গেছে। এখন আমরা যারা ক্লাব থেকে টাকা পাচ্ছি না, তারা বোর্ডের কাছেও যেতে পারছি না। কারণ, আমরাই তো দাবি করে ক্লাবের সঙ্গে আর্থিক দেনদরবার নিজেদের কাছে এনেছি।’
ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন এক ক্রিকেটারের মতে, এতে করে লাভ হয়েছে জাতীয় দলের বড় তারকা তিন-চারজন ক্রিকেটারের। যাদের পারিশ্রমিক ৩০-৩৫ লাখ থেকে বেড়ে ৬০ লাখ হয়েছে। বাকি বেশিরভাগ ক্রিকেটার এই নিয়মের ফলে বাংলাদেশের অপেশাদার বাস্তবতায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
প্রথম দাবি পূরণে আগ্রহী নন ক্রিকেটাররাই!
আন্দোলনে ক্রিকেটারদের প্রথম দাবি ছিল- ‘ক্রিকেটারদের প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে ও অকার্যকর সংগঠন কোয়াবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রিকেটারদেরই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বেছে নেওয়ার অধিকার দিতে হবে।’
ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) এর সভাপতি পদে এখনো বহাল আছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সাধারণ সম্পাদক পদে দেবব্রত পাল। এই দুজনকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এখন আর আগ্রহ নেই ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারদের আন্দোলনের পর পর কোয়াবের পক্ষ থেকে সভা ডেকে বর্তমান ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল। কোয়াব নেতাদের দাবি, তাতে সাড়া দেননি কেউ। এরপর করোনাভাইরাস চলাকালীন কোয়াবের বর্তমান নেতৃত্বের অধীনেই একাধিক সভায় অংশ নেন তামিম ইকবাল, মুমিনুল হকসহ অনেক জাতীয় ক্রিকেটার। তাদের কাছ থেকে কোয়াব নেতাদের পদত্যাগের কথা আর শোনা যায়নি।
বিপিএল নিয়ে করা দাবি ধোঁয়াশায়
আগের সব ফ্র্যাঞ্চাইজি বাদ দিয়ে সর্বশেষ বিপিএল ভিন্ন আদলে আয়োজন করেছিল বিসিবি। যাতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বেশ কমে গিয়েছিল। ক্রিকেটারদের দাবি ছিল, বিপিএল আয়োজন করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক। বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিকই করতে চান বলে তখনই জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তবে বিপিএলের নতুন আসর কবে, কোন আদলে হবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। কয়েকদিন আগে বিসিবি সভাপতি বলেন, আগের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই। করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর আর হচ্ছে না বিপিএল। বিপিএল নিয়ে নীতিগত সব সিদ্ধান্তও তাই আটকে।
যে দাবি উল্টো পথে
‘বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারদের সংখ্যা ও তাদের বেতন বাড়ানো নিয়ে’ ছিল ষষ্ঠ দাবি।
এই দাবির একটা দিক পূরণ হয়েছে, আরেকদিক উল্টো পথে। আগের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রুকি শ্রেণিসহ ক্রিকেটার ছিলেন ১৭ জন। এবার লাল ও সাদা বলের দুই ধরনের চুক্তিতে সবমিলিয়ে রাখা হয়েছে ১৬ ক্রিকেটারকে। অর্থাৎ বাড়ানোর বদলে উল্টো কমানো হয়েছে কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটার সংখ্যা।
তবে তাদের প্রত্যেকেরই বেতন বেড়েছে বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে। বেড়েছে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ফি। প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য ম্যাচ ফি থাকছে দুই লক্ষ, ওয়ানডেতে তিন লক্ষ আর টেস্টের জন্য তা ছয় লক্ষ টাকা। এর আগে প্রতিটি টি-টোয়েন্টির জন্য ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, ওয়ানডেতে দুই লক্ষ এবং টেস্টের জন্য তা ছিল সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
যেসব দাবি পূরণের পথে নেই
‘জাতীয় লিগের ওয়ানডে ফরম্যাট চালু করতে হবে। বিপিএলের আগে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও থাকতে হবে,’ এটি ছিল অষ্টম দাবি।
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ২০০০-০১ মৌসুমে জাতীয় লিগে চারদিনের ম্যাচের পাশাপাশি ওয়ানডেও চালু ছিল। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। এই দাবি নিয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া দিতে দেখা যায়নি বিসিবিকে। এখনো দেশের একমাত্র লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। করোনা বিরতির পর বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপ করা হচ্ছে ওয়ানডে ফরম্যাটে। তবে এটি কেবলই প্রস্তুতিমূলক আসর।
বিপিএলের আগে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট নিয়েও নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা মেলেনি। এই বছর যেহেতু বিপিএল হবে না, শ্রীলঙ্কা সফরও হয়নি, তাই করোনা স্থবিরতার পর ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরাতে একটি পাঁচ দলের কর্পোরেট টি-টোয়েন্টি লিগের পথে হাঁটছে বিসিবি। তবে এই টুর্নামেন্ট কেবল এই বছরের জন্য নাকি নিয়মিত করা হবে তা নিয়ে এখনো বিসিবির অবস্থান অস্পষ্ট।
নবম দাবি ছিল- ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের টুর্নামেন্টগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার থাকতে হবে।’ এই দাবির আশেপাশেও নেই বিসিবির বর্তমান বাস্তবতা। এখনো পর্যন্ত বিপিএলের জন্যই কোনো নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করতে পারেনি বোর্ড। বাকি টুর্নামেন্টগুলোও প্রতি বছর একেক সময়ে হচ্ছে। সেটা অবশ্য কোনো বিশেষ কারণে নয়, যেকোনো পরিস্থিতিতেই একই।
বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই ছিল না যে দাবি
এগার নম্বর দাবি ছিল- ‘ক্রিকেটারদের দুটির বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনাপত্তি পত্র না দেওয়ার নিয়ম শিথিল করতে হবে।’
একমাত্র সাকিব আল হাসান ছাড়া দুটির বেশি বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সুযোগ পেতে দেখা যায় না দেশের আর কোনো ক্রিকেটারকেই। সেই সাকিবও এক বছর ধরে নিষিদ্ধ আছেন। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর আবার তিনিই পেতে পারেন দেশের বাইরে এমন কদর। দাবিটি নিয়েও তাই অন্য ক্রিকেটারদের তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায়নি।
আরও যেসব দাবি
‘দেশীয় কোচ, আম্পায়ার ও গ্রাউন্ডসম্যানদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। একই সঙ্গে যথাযথ পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে’- এটি ছিল অষ্টম দাবি। বিসিবি সভাপতি তখনই বলেছিলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় কর্মীদের বেতন তারা যথেষ্টই দিচ্ছেন। আরও যদি ঘাটতি থাকে সময়ে সময়ে পূরণ করা হবে। এই দাবি নিয়ে ক্রিকেটার কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মীদেরও আর উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি।
দশম দাবি ছিল- ‘বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বকেয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আগেরবারের বকেয়া আদায়ে বিসিবি দায়িত্ব নিয়েছিল। কিন্তু ক্রিকেটারদের দাবিতে ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ উঠে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে বিপত্তি। ক্লাবের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে ক্রিকেটাররাই আর বিসিবির দ্বারস্থ হতে পারছেন না।
বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে অভিযোগ এবার পাওয়া যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ফিকা গত অগাস্টে এক জরিপের পর জানায়, বিপিএলে তিন ক্রিকেটার ও এক কোচ পারিশ্রমিক নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। ওই খবর চাউর হলে টুর্নামেন্টের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ইসমাইল হায়দার মল্লিক তখনই জানিয়েছিলেন, একটি ইস্যু ছিল এবং তা সমাধান হয়ে গেছে।
ধর্মঘট চলাকালীন পরবর্তীতে রাজধানীর একটি হোটেলে আরও দুই দাবি যোগ করেছিলেন সাকিবরা। তার একটি ছিল ‘বোর্ডের রাজস্বের ভাগ দিতে হবে ক্রিকেটারদেরকে’, আরেকটি ‘পুরুষদের পাশাপাশি নারী ক্রিকেটারদের সমান সুবিধা দিতে হবে’।
সেদিন রাতেই বিসিবিতে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে সভার পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই দাবিগুলো নিয়ে আর কথা বলতে চাননি ক্রিকেটাররা। তবে বোর্ড প্রধান নাজমুল জানিয়েছিলেন, রাজস্বের ভাগ পাওয়ার বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই, এটি তাই মানার প্রশ্নই উঠে না এবং নারী ক্রিকেটারদের সামগ্রিক উন্নয়নে বিসিবি আন্তরিক।
Comments