টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, ১৭ মামলার আসামিসহ নিহত ২
কক্সবাজারে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৭ মামলার আসামি সাদ্দাম ও তার ‘সহযোগী’ আব্দুল জলিল নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল অভিজিৎ দাশ ও কনস্টেবল এমরান হোসেন আহত হয়েছেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে দুইটি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৩ রাউন্ড কার্তুজ, ১০ হাজার পিস ইয়াবা, নগদ ১ লাখ পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭ মামলার পলাতক আসামি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।’
‘সাদ্দামকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সহযোগী ইয়াবা চোরাকারবারিদের নাম-ঠিকানা জানায়। পরে ওসির নেতৃত্বে সাদ্দামকে সঙ্গে নিয়ে ভোররাত তিনটায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বোনিয়া বড়ছড়া খালের কাছে অভিযানে গেলে সাদ্দামের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।’
‘এতে এসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল অভিজিৎ দাস ও কনস্টেবল এমরান গুলিবিদ্ধ হন’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জান-মাল রক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ হয়। সেসময় ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরও এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়।’
‘আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অপর গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত অলি আহাম্মদ ছেলে আব্দুল জলিল (৩২),’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ দুই জনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. প্রণয় রুদ্র উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। আজ সকাল ছয়টায় সেখানে পৌঁছার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’
Comments