সাইবার অপরাধ আইন: আমরা কি জানি প্রকৃত অপরাধী কারা?
আমাদের দেশে ওয়াজ-মহফিল খুব জনপ্রিয়। একটা সময় ছিল যখন গ্রামেগঞ্জে শীতকালে এই ওয়াজ শোনাটা উৎসবের মতো ছিল। ৩০/৩৫ বছর আগে একবার ময়মনসিংহে বেড়াতে গিয়ে ওয়াজ শুনেছিলাম। পাশের গ্রাম থেকে একজন মওলানা সাহেব এসে কেয়ামত, বেহেশত, দোযখ, ভালো কাজ, মন্দ কাজ, মুসলিমদের দায়িত্ব ইত্যাদি বিষয়ে কথা বললেন। সেটাই ছিল আমার প্রথম ও শেষ সরাসরি ওয়াজ শোনা। কারণ, তখন ওয়াজের প্রচলনটা এতো বেশি ছিল না।
তবে গত কয়েক বছরে দেশে-বিদেশে ওয়াজ শোনার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। তথ্য প্রবাহের এই যুগে যার ইচ্ছা তিনি শুনতেই পারেন ইসলামি স্কলারদের কথা। তবে কোনো কোনো ওয়াজের বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট নিয়ে কিছু বলতে চাই। কয়েক জনের ওয়াজ দেখছি ফেইসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারো কারো ওয়াজের বিষয়, ওয়াজ করার ধরন, কথা বলার স্টাইল এতো নোংরা এবং নারী ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক যে ভাবতেও খারাপ লাগে।
কিছু কিছু ওয়াজ শুনলে মনে হয় নারীর অমর্যাদা করা এবং নারীকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ অশ্লীল কথা বলাই তাদের ওয়াজের একমাত্র বিষয়। এই সব ওয়াজকারী নিজেদের বয়ানে যে মিথ্যা ও অশ্লীল কথাগুলো বলছেন, খুব অবলীলায় সেগুলোর সঙ্গে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে যোগ করে দিচ্ছেন।
সবচেয়ে অবাক হয়ে দেখলাম গ্রামে-গঞ্জে ও শহরে অশ্লীল বক্তব্য প্রদানকারী এই বক্তাদের শ্রোতা এবং দর্শকের সংখ্যা অনেক। এক শ্রেণীর মানুষ কোনো রকম ধর্মীয় জ্ঞান ছাড়াই শুধুমাত্র ঘৃণা ছড়ানোর জন্য আজে-বাজে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন, আর লোকে তা শুনছেন।
নারী এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের অবমাননাকারীরবিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বা তথ্য প্রযুক্তি আইন বা ডিজিটাল আইনে কাউকে আটক দেখানো হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এমনকী এই করোনাকালীন সময়েও এরা করোনা মোকাবেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও বিধি-বিধানকে অগ্রাহ্য করে নানা ধরণের অবৈজ্ঞানিক বক্তব্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল পথে চালিত করছেন, তবুও তাদেরকে কেউ কোনো বাধা দিচ্ছেন না।
দোষটা আসলে আমাদেরই। আমরাই উদ্যোগ নিয়ে কোন কথা বলি না, প্রতিবাদ করি না, গণমাধ্যমও সেইভাবে সোচ্চার হয় না, মামলা-হামলা কোনটাই করি না। শুধু বিরক্তি প্রকাশ করি। আর ফেসবুকে ইমোজি ব্যবহার করে স্ট্যাটাস দেই।
দেশে অশ্লীল মন্তব্যকারী ও প্রচারকারীর সংখ্যা এতো বেশি যে, তা দেখে প্রতিনিয়ত হতাশ হতে হয়। অনেকেই দুঃখ করেন, অভিযোগ করেন, এ সব নোংরা মন্তব্য করা নিয়ে।
আমরা দেখেছি ঐ বিপদগামী গ্রুপটা হামলা-মামলা সবটাতেই এগিয়ে। কেউ একটা লেখা লিখবে বা কোন স্ট্যাটাস দেবে— ব্যস তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে।
এরা কেউ কোনো গঠনমূলক সমালোচনা করবে না বা মতের বিরুদ্ধে কোনো যুক্তিও দেবে না। দেবে শুধু আজে-বাজে গালি-গালাজ এবং করবে নোংরা কমেন্টস। এদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।
সাধারণ মানুষ যারা এই গ্রুপের নন কিন্তু, নিজেদের তেমন কোনো শক্ত মতাদর্শ নাই, এরা খুব দ্রুত এসব সস্তা কথাতে মজে যান। আমরা দেখেছি, বহুবার এসব নষ্ট মানুষের মিথ্যা প্ররোচনায় মানুষের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু, দুঃখের বিষয়— এ সব চক্রান্তকারীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়নি। ফলে দিনের পর দিন এদের হাত শক্তিশালী হয়েছে।
সেদিন বুয়েটের নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারকে নিয়োগ দেওয়ার পর একদল নেমে পড়লেন তার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে। অকথ্য ভাষায় তাকে গালি দেওয়া হচ্ছে। তারা বলতে চাচ্ছে, শুধু তিনি হিন্দু বলেই যোগ্যতা ছাড়াই তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আমার প্রশ্নটা অন্যখানে। একজন হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বী কি বুয়েটের বা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হতে পারবেন না? শুধু কি একজন মুসলমানই ভিসি হতে পারেন? ভিসি ছাড়াও যে কোনো পদের জন্য ধর্ম, বর্ণ, জাত, লিঙ্গ কোনো যোগ্যতা হতে পারে না। একমাত্র যোগ্যতা হওয়া উচিৎ কাজ এবং শিক্ষাদীক্ষা। আমরা কি এমন মুসলমান ভিসি পাইনি, যাদের ভিসি হওয়ার কোন যোগ্যতাই নেই? সেক্ষেত্রে এই গ্রুপটা কিন্তু কোনো কথা বলেনি। কারণ তাদের কাছে যোগ্যতা অযোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি ধর্ম।
জানতে চাই একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এতো বাজে কথা বলার পরও কি এই সব লোকের বিরুদ্ধে কেউ কোনো মামলা দায়ের করেছেন? কোনো আইনের আওতায় কি তাদের শাস্তির বিধান করা হয়েছে?
ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী, জাহানারা ইমাম, ড. আনিসুজাজামান— তারা আমাদের দেশের একেকজন দিকপাল। তারা বাংলাদেশের সম্পদ এবং সবাই মুসলমান। অথচ ড. জাফর ইকবাল স্যারকে যখন ২০১৮ সালে ছুরিকাঘাত করা হয়, যখন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী মারা যান তখন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে যে সংবাদ ছাপা হয়েছিল, সেই সংবাদগুলোর নিচে এ দেশেরই কিছু মানুষ যেসব মন্তব্য করেছেন, তার অধিকাংশই খুব নোংরা ও অবমাননাকর।
মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী মারা যাওয়ার পরও তার জীবন, অর্জন নিয়ে বাজে কথা বলতে ছাড়েনি কিছু বিকৃত মনের শয়তানরা।
আনিসুজ্জামান স্যারের করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলে যাওয়ার সংবাদটি ফেসবুকে পাবলিক করে শেয়ার দেওয়ার পরই দেখলাম কিছু বদমাইশ স্যারের ধর্মকর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে। ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টরের ফেসবুক পেজে সবসময় নোংরা ও অকথ্য সব মন্তব্য করা হয় বলে জানিয়েছেন পেজটির এডমিন। তিনি মনে করেন মন্তব্যকারীদের শতকরা ৯৯ ভাগই কোনো লেখা পড়ে না। কিন্তু, কুৎসিত ভাষায় লেখকদের আক্রমণ করে।
এমনকী, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্মদিনে তার পেজে একটা ছবি পোস্ট করার পরই শহীদ জননীকে নিয়েও যাচ্ছেতাই সব কথা বলতে শুরু করেছিল। তখনই ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর এদের বাদ দিয়েছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন তার বোনের সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়ার পর এতো বেশি বাজে কমেন্ট আসতে থাকে যে উনি নিজেই তার এই ছবি সরিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ ধরণের সমর্থক তার দরকার নাই।
এ সব দেখে দেখে মনে হচ্ছে, যে কেউ চাইলেই জাফর ইকবাল স্যার, আনিসুজ্জামান স্যার, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী, শহীদ জননী জাহানার ইমামসহ সব সম্মানিত মানুষদের নিয়ে যতো খুশি কুরুচিপূর্ণ কথা বলতে পারবে। নোংরা কথা বলে নারীদের ধর্ষণ করতে পারবে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের কলিজা ছিঁড়ে আলাদা করে ফেলতে পারবে। কোনো শাস্তি ছাড়াই এরা পার পেয়ে যায় বলে এবং এদের বদলে প্রগতিশীল মানুষকে কারাগারে ঢুকতে হয় বলে, এরা ক্রমশ সাহসী হয়ে উঠছে।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াতে আজে-বাজে মন্তব্য ও মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করার জন্য বিভিন্ন গ্রুপ আছে। লেখক, তারকা, শিল্পী, কবি কেউ বাদ যান না এদের হাত থেকে। এরা খুব অনায়াসেই অ-প্রকাশযোগ্য, অমুদ্রণযোগ্য কমেন্টস করে থাকে। অথচ, সাইবার অপরাধ আইনের অধীনে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
আমরা জানি যে, ফেসবুক বা যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা কোনো গণমাধ্যমে মানহানিকর, বিভ্রান্তিমূলক, অশালীন, অরুচিকর, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও উস্কানিমূলক এমন কিছু লেখা বা পোস্ট করা বা স্ট্যাটাস দেওয়া বা মন্তব্য করা কিংবা ছবি বা ভিডিও আপলোড করা সাইবার অপরাধ। অনলাইন ব্যবহারে এমন কোনো কিছু করা যাবে না, যাতে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম, জাতীয়তা, যৌনতা ইত্যাদি উল্লেখ বা ইঙ্গিত করে কুৎসা রটানো কিংবা মানহানিকর, অনূভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এ সবই সাইবার অপরাধ।
কোনো ব্যক্তি বা পরিবার বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে অনলাইনে ভীতি বা শক্তি প্রদর্শন করা, হুমকি দেওয়া বা কোনো কিছু পাঠানো অথবা মিথ্যা তথ্যসম্বলিত বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করলেও সাইবার অপরাধ হবে।
দেশে অরাজক ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা সম্ভাবনা আছে এ রকম যে কোনো কর্মকাণ্ড কিংবা দেশবিরোধী কোনো কিছু অনলাইনে প্রকাশ করলে সেটিও সাইবার অপরাধ হবে। অথচ, এরকম প্রচারণা অহর্নিশ চলছে, প্রশাসন গা করছে না।
আমরা দেখছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনৈতিক কোনো পোস্ট দিলে, রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কিছু বললে বা ভিন্নমত পোষণ করলে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। অথচ এই যে সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিদের হেয় করা হচ্ছে, নানাভাবে আজেবাজে মন্তব্য করা হচ্ছে নারী ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং আজে-বাজে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে করোনা মহামারি সম্পর্কে, তখন তো দেখি না ডিজিটাল আইনে এসব নোংরা লোকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের হচ্ছে বা কাউকে আটক করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে মুক্তচিন্তার মানুষদের বিরুদ্ধে।
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে— কেনো এই আইন? তথ্য ও প্রযুক্তিকে যারা অপরাধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, তাদের সবারই বিচার হওয়া দরকার সাইবার আইনে। কিন্তু, যখনই বেছে বেছে বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ ঘটানো হয়, তখনই সেই আইন নিয়ে প্রশ্ন উঠে জনমনে।
বহুক্ষেত্রে শুধুমাত্র রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট, শিক্ষককে ডিজিটাল আইনের আওতায় আটক করা হচ্ছে। ফেসবুক বা গণমাধ্যমে অপপ্রচারকারীদের সংজ্ঞাও পাল্টে ফেলা হচ্ছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে।
যখন এই আইন করা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল সাইবার অপরাধ, অনলাইনে যৌন হয়রানি, পর্নোগ্রাফির ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করা হবে। কিন্তু, তা কি হচ্ছে বা কতটা হচ্ছে?
অনলাইনে অশ্লীল প্রচারণা চালনাকারী ও গুজব রটনাকারীদের কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায়— তা ভাবার সময় এসেছে। ফেসবুকে কোনো নজরদারি নাই বলে যার যা খুশি লিখে বা ভিডিও করে প্রচার করছে আর তা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। অনেক মানুষই এর সত্যতা নিয়ে ভাবেন না, তারা শুধু বিশ্বাস করেন।
সম্প্রতি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন করোনাকালে পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংতা প্রতিরোধ এবং হিজড়া, যৌনকর্মী ও প্রতিবন্ধীদের ত্রাণ পাওয়ার অধিকার বিষয়ে ভিডিও, ইনফোগ্রাফ এবং কার্টুন করে ফেসবুক ও ইমোতে দিয়েছিল। প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখতে পেলাম প্রতিটি ইস্যু সম্পর্কে, বিশেষ করে যৌনকর্মী ও হিজড়া সম্পর্কে অত্যন্ত কদর্য মন্তব্য করছে অধিকাংশ মানুষ। তাদের কথা একটাই— এরা খারাপ। তাদের ত্রাণ পাওয়ার কোনো অধিকার নাই। আমরা মনে করছি মানুষের এই আচরণ নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার আছে।
লেখক, সাংবাদিক আনিসুল হক একবার গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অনেক সভ্য মানুষই নিজেদের ভেতরে অন্ধকার দিকগুলোকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি এখনো। ফলে যখন তারা অনলাইনে একাকী থাকে তখন তাদের ভেতরের অন্ধকার দিকটি বেরিয়ে আসে। তারই প্রকাশ ঘটে এমন সব রুচিহীন, আক্রমণাত্মক, বিদ্রুপাত্মক কমেন্টের মধ্য দিয়ে এবং এভাবেই সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার হচ্ছে।’
এরা সবখানেই ছড়িয়ে আছে। প্রতিটা অনলাইন মিডিয়ার নিউজের নিচে এদের দলগত উপস্থিতি ও নোংরামি স্পষ্ট। এদের নোংরা মন্তব্য করার অধিকার কেড়ে নিতে হবে। কেন তারা গণমাধ্যমের মন্তব্য ঘরকে তাদের ঘৃণা প্রকাশের ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করবে? কোনো পক্ষ থেকে যদি প্রকৃত সাইবার অপরাধীদের চিহ্নিত করা না হয়, গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমকেই ওয়াচডগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
শাহানা হুদা রঞ্জনা, সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
ranjana@manusher.org
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)
Comments