আগামীকাল বিএসএমএমইউকে অ্যান্টিজেন কিট পরীক্ষার ডিভাইস দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র
করোনাভাইরাস শনাক্তে রক্তনির্ভর অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দেওয়া প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দ্রুত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
পাশাপাশি স্থগিত থাকা লালানির্ভর অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করে বিএসএমএমইউকে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার অনুরোধ জানাবে তারা।
এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিএসএমএমইউ আমাদের কিটের (অ্যান্টিবডি) কার্যকারিতা পরীক্ষা করে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটা আমরা হাতে পেয়েছি। আমরা এখন তাকিয়ে আছি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরবর্তী কার্যক্রমের দিকে। প্রত্যাশা করছি বিএসএমএমইউর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিক। এটাই এখন আমাদের প্রত্যাশা।’
তিনি বলেন, ‘বিএসএমএমইউকে এখন আমরা অনুরোধ করছি, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের অ্যান্টিজেন কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যে। অ্যান্টিজেন কিটের কার্যকারিতার পরীক্ষা স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেছিলাম, নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়ার ত্রুটির কারণে। নমুনা সংগ্রহের ডিভাইস আমরা ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলেছি। আগামীকাল সেই ডিভাইস বিএসএমএমইউকে প্রদান করব। আবার পরীক্ষা শুরু করে অ্যান্টিজেন কিটের প্রতিবেদন দেওয়ার অনুরোধ করব।’
বিএসএমএমইউ উপাচার্য সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গণস্বাস্থ্যের কিট রোগ শনাক্তে কার্যকর নয়। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে তিনি কি বলেছেন, তা শুনিনি- জানি না। সে বিষয়ে কোনো বক্তব্যও নেই। লিখিত যে প্রতিবেদন পেয়েছি, আমাদের বক্তব্য তার ওপর ভিত্তি করে। ইতোমধ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণমাধ্যমকে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ এর কার্যকারিতা পরীক্ষার প্রতিবেদন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে জমা দেয় বিএসএমএমইউর পারফরম্যান্স কমিটি।
Comments