গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কিটের কার্যকারিতা নিরূপণে বিনা মূল্যে ২০০ রোগীর করোনা পরীক্ষা করবে

gonoshasthaya kendra logo

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস নির্ণায়ক ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার দায়িত্ব পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। এ কাজে তারা ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করলেও, তাদের কাজের গতি ধীর বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার জানা গেল, নিজস্ব ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ এবং বর্তমানের জটিল পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সম্পূর্ণ বিনা খরচে ২০০ রোগীর করোনা পরীক্ষা করে দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আমাদের উদ্ভাবিত কিটের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করছি, বিষয়টা এমন নয়। এটি বললে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। থার্ড পার্টি ভেলিডেশন ছাড়া আমরা তা করতে পারি না। এজন্য বিএসএমএমইউ দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারাই কাজটি করবে এবং করছে।’

‘আমরা দেখলাম যে, কিডনির সমস্যা নিয়ে গতকাল একজন অতিরিক্ত সচিব বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলেন। এমন অনেক কিডনি রোগী আছেন যারা ডায়ালাইসিস করাতে পারছেন না। হার্টের রোগী আছেন, তাদের চিকিৎসা হচ্ছে না এবং এমন আরও রোগী আছেন। তাই আমরা ভাবলাম, সেক্ষেত্রে আমরা তো তাদের করোনা পরীক্ষা করে দিতে পারি’, বলেন তিনি।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বয়স্ক যেসব রোগী কোথাও করোনা পরীক্ষা করাতে পারছেন না, অথবা করোনা পরীক্ষায় যাদের একটিতে পজিটিভ ও আরেকটি নেগেটিভ এসেছে, এখন তৃতীয় পরীক্ষা কোথাও করাতে না পেরে চিকিৎসা করতে পারছেন না, তাদের আমরা পরীক্ষা করব। এতে কোনো খরচ লাগবে না।’

‘তবে, আমি আবারও বলছি যে, এটা অ্যাপ্রুভড টেস্ট না। বিএসএমএমইউ না বলা পর্যন্ত আমরা রোগীদের সে নিশ্চয়তা দেব না। শুধু আমাদের নিজস্ব ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবেই কাজটি করছি’, যোগ করেন তিনি।

বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার পরীক্ষায় অনেকেরই করোনা পজিটিভ এসেছে এবং তারা চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন তারা সুস্থ কিংবা করোনামুক্ত কী না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করেও দ্বিতীয় বা তৃতীয় পরীক্ষা করাতে পারছেন না। অনেকের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয়, কিন্তু করোনা পরীক্ষা না করানোর কারণে তারা সেটি করতে পারছেন না। সেসব রোগীদের সাহায্যের জন্যই মূলত আমাদের এ উদ্যোগ। আমাদের পরীক্ষায় যাদের ফল নেগেটিভ আসবে, তারা চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে পজিটিভ রোগীদের আমরা বিশেষায়িত করোনা হাসপাতালগুলোতে পাঠিয়ে দেব।’

তিনি বলেন, ‘কিট অ্যাপ্রুভড হওয়ার পর রোগীদের পরীক্ষার জন্য আমাদের বিভিন্ন স্থানে বুথ বসানো লাগতে পারে। সেজন্য কী কী করতে হবে এবং আমরা কী ধরনের সমস্যায় পরতে পারি, তা জানতে আজ একদিনের জন্যই আমরা সর্বোচ্চ ২০০ জন করোনা রোগীর রক্ত নেব পরীক্ষার জন্য।’

কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় বিএসএমএমইউ’র অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএমএমইউ থেকে জানিয়েছে যে, আজকে তারা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে চিঠি দেবে। আগামীকাল থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী কিট সরবরাহ করা হবে এবং তারা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করবে।’

‘ইতোমধ্যে ১২ দিন চলে গেছে। এসব বিষয় নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না। কিছু বললেই তারা আবার বলবে যে, আমি আইন মানি না,’ বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

6h ago