করোনাভাইরাস

মানুষের জন্যে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন

Bidyananda Foundation
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে জীবাণুনাশক ছিটাছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি: সংগৃহীত

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। করোনার বিস্তার রোধে সংস্থাটি মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রামের যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি, সেসব স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো এবং মাস্ক-অ্যাপ্রোন-গাউন তৈরি ও বিতরণের কাজ করছে।

আজ রোববার দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ঢাকা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ও স্বেচ্ছাসেবক সালমান খান ইয়াসিন বলেন, ‘আমরা এখন প্রতিদিন গড়ে ৬০০ মাস্ক তৈরি ও বিতরণ করছি। প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ লিটার জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। আমরা এখন অ্যাপ্রোন বানানো শুরু করেছি। জানি না কতটুকু পারবো। তবে আমাদের টার্গেট আছে প্রতিদিন ৭০০ অ্যাপ্রোন তৈরি করার।’

Bidyananda Foundation
মাস্ক তৈরি করছেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি: সংগৃহীত

দুস্থ শিশুদের মধ্যে ‘এক টাকায় আহার’ বিতরণ করে সুনাম অর্জন করা সংস্থাটির এই স্বেচ্ছাসেবক আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের দেওয়ার জন্যে আমরা যে গাউন তৈরি করছি তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আমাদের সহযোগিতা করছে। তারা প্রায় ২৫শ গাউন স্পন্সর করছে।’

সংস্থাটি আরও কী ধরনের কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যদি পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়, তখন মানুষের বহুবিধ সহায়তার প্রয়োজন হবে। নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। লকডাউনের মতো পরিস্থিতি যদি তৈরি হয় তবে খাদ্য সরবরাহের দিকটি আমাদের বিবেচনায় আছে। আমরা কারো কাছে সরাসরি সহায়তা চাই না। যদিও ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তাতেই আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন। আশা করছি, মানুষ এগিয়ে আসবেন।’

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago