পরিষ্কারের নামে নর্দমার আবর্জনা রাস্তায়

দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন থেকে রাস্তা পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) কর্মকর্তাদের অবহেলা এবং অদক্ষতা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাহাত্তার পুল এলাকার কেবি আমান আলী রোডের উজির আলী শাহ বাই লেনের ড্রেন থেকে তোলা বর্জ্য স্তূপ করে ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তায়। সে-ও বেশ কয়েকদিন ধরে। এই বর্জ্য থেকে অসহনীয় দুর্গন্ধ চরম দুর্ভোগে ফেলেছে পথচারী এবং এলাকার বাসিন্দাদের। এটা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার উদাহরণ মাত্র।

বর্ষা আসছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে এসব আবর্জনার খানিকটা আবার গিয়ে জমবে ড্রেনে। যা কিছু অবশিষ্ট থাকবে তা ছড়িয়ে পড়বে রাস্তাজুড়ে। পানির সঙ্গে এসব আবর্জনা মিশে কর্দমাক্ত করবে রাস্তা। নর্দমায় জমে থাকা বর্জ্য তোলা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। কিন্তু তুলে ফেলা বর্জ্যগুলো সরিয়ে না ফেলা প্রায় নিয়মিত একটা ব্যাপার। এই কাজটি যে শুধু চট্টগ্রামেই হয় তা নয়, অন্যান্য শহরেও হয় এমনটা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা রাস্তায় বর্জ্য তুলে রাখার কারণ হিসেবে জানান, বর্জ্যগুলো ফেলে রাখা হয়েছে যাতে শুকাতে পারে। না শুকালে এগুলো অন্য জায়গায় নেওয়ার সময় পানি নিংড়ে রাস্তা নোংরা হয়। তার এমন যুক্তি হাস্যকর। সিসিসি এভাবে তাদের দায় এড়াতে পারে না। কারণ, তাদের কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত এভাবে বর্জ্য ফেলে রাখার উদাহরণ আছে। নগর কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের প্রতি এ ধরনের অবহেলা অগ্রহণযোগ্য। সিসিসিকে অবশ্যই এই সমস্যাটি জরুরিভাবে সমাধান করতে হবে। কারণ এটি স্পষ্টতই জনসাধারণের দুর্ভোগের কারণ। করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ও তদারকির অভাবই এই অবস্থার তৈরি করছে।

Comments

The Daily Star  | English

‘Aynaghar’: Commission working to find out those involved

Chief Adviser’s Deputy Press Secretary Mohammad Abul Kalam Azad Majumder yesterday said the relevant commission is looking into who were specifically involved in torturing people, keeping them confined to “Aynaghars” or secret prisons.

1h ago