মোস্তাফিজকে মাঠের বাইরে ফেলে শানাকা বললেন গায়ের জোরই সব নয়
৯ ছক্কা মেরেছেন দাসুন শানাকা, যার চারটি টানা মেরেছেন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে। এরমধ্যে একটি তো ছাড়িয়ে গেল গ্যালারির বাইরে। সম্ভবত মিরপুরের মাঠের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ছক্কা। এমনকি ক্রিস গেইলও তারচেয়ে বড় ছক্কা মারতে পারেননি। এত বিশাল সব ছক্কা মারা দাসুন ম্যাচ শেষে বললেন, গায়ের জোরই সব নয়, বল পেটাতে থাকতে হয় টেকনিক।
বুধবার বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচ পুরোটাই রাঙিয়েছেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের এই শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। তার ৩১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ে কুমিল্লা করে ১৭৩ রান। যা তাড়া করতে গিয়ে ৬৮ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর রেঞ্জার্স।
এমন বিস্ফোরক ইনিংস খেলে অনুমিতভাবে কুমিল্লার এই অধিনায়কই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। এত এত ছক্কা মারেন কি মানের প্রস্তুতিতে? শানাকা জানালেন তার পাওয়ার হিটিং আসলে কঠোর নিষ্ঠার ফল, ‘পাওয়ার আসে ট্রেনিং থেকে। আমি কঠোর পরিশ্রম করি। এটা সেই পরিশ্রমেরই ফল।’
তবে আলাদাভাবে ছক্কা মারার কোন ট্রেনিং করেন না তিনি, ‘না সেভাবে ছক্কার ট্রেনিং করি না। টেকনিক নিয়েই বেশি কাজ করি। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার টেকনিক অতো ভালো ছিল না। আমাকে এটা রপ্ত করতে হয়েছে, খেলার ধরণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে।’
শানাকার মারা একটি ছয় গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের ছাদের শেষ দিকে লেগে বেরিয়ে যায় একদম মাঠের বাইরে। এতবড় ছক্কার দেখা আর আগে কেউ পাননি মিরপুরে। শানাকা জানাচ্ছেন দেশে এরচেয়ে বড় ছক্কার রেকর্ডও নাকি আছে তার, ‘এর চেয়ে বড় ছক্কা আমি মেরেছি। হ্যাঁ ওটা বেশ উপভোগ্য ছিল।’
এত সব বিশাল ছক্কা নাকি গায়ের জোরে নয়, টেকনিকের মুন্সিয়ানায় হাসিল করেছেন এই লঙ্কান, ‘গায়ের জোরই সব নয়। টেকনিকও বড় নিয়ামক। আমি তো হালকা-পাতলা গড়নের। (হাসি) ছক্কার ক্ষেত্রে স্কিল আর টেকনিক আসলে বড় ভূমিকা রাখে।’
শানাকার ঝড় সবচেয়ে বেশি সইতে হয়েছে মোস্তাফিজকে। এই কাটার মাস্টারকে পিটিকে চার বলেই ২৪ তুলেন শানাকা। জানালেন মোস্তাফিজের দুর্বল জায়গা পড়েই এমন তুলোধুনো, ‘ওকে কয়েকবার খেলেছি। জানতাম ও কোথায় বল করে। অপেক্ষা করছিলাম ওর আলগা বলের জন্য।’
Comments