জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৫ রানের জবাবে ইনিংসের শেষ বলে গুটিয়ে যায় ১৩৬ রানে। টানা তিন হারের পর টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ও নিশ্চিত হয়েছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজারাদের। জিম্বাবুয়ে বিদায় নেওয়ায় ফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তানও। ২৪ মে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলবে দুদল।
তার আগে চট্টগ্রামে টুর্নামেন্টের বাকি দুই ম্যাচ এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৫/৭ (শান্ত ১১, লিটন ৩৮, সাকিব ১০, মুশফিক ৩২, মাহমুদউল্লাহ ৬২, আফিফ ৭, মোসাদ্দেক ২, সাইফউদ্দিন ৬*, আমিনুল ০*; এনডিলভু ০/৩২ জার্ভিস ৩/৩২, এমপুফু ২/৪২, উইলিয়ামস ০/২৬, বার্ল ১/১৩, মুটম্বোদজি ১/১৭, মাডজিভা ০/১০)।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৩৬ (টেইলর ০, মাসাকাদজা ২৫, চাকাভা ০, উইলিয়ামস ২, মুটম্বোদজি ১১, বার্ল ১, মুটুম্বামি ৫৪, মাডজিভা ৯, জার্ভিস ২৭, এনডিলভু ২, এমপুফু ০*; সাইফউদ্দিন ১/১৪, সাকিব ১/২৮, শফিউল ৩/৩৬, মোস্তাফিজুর ২/৩৮, আমিনুল ২/১৪)।
ফলাফল: বাংলাদেশ ৩৯ রানে জয়ী।
মোস্তাফিজের ৫০ উইকেট
টি-টোয়েন্টিতে ৫০তম উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ বলে ২৭ করা কাইল জার্ভিসকে তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের নবম উইকেট ফেলেছেন তিনি। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ে আছে হারের পথে।
ঝড়ো ফিফটির পর মাতুয়াম্বির বিদায়
৩১ বলে ৫৪ রান করে থেমেছেন মাতুমাম্বি। জয়ের সম্ভাবনা না জাগলেও তার ইনিংসে হারের ব্যবধান কমানোর পথে জিম্বাবুয়ে। ১২৪ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়েছে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে তারা।
মাতুয়াম্বি-জার্ভিসের প্রতিরোধ
৬৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে কিছুটা অক্সিজেন যুগিয়েছেন রিচমন্ড মাতিয়াম্বি আর কাইল জার্ভিস। ২৯ বলে জুটিতে পঞ্চাশ রান তুলে ফেলেছেন তারা। জয় অনেকটা নাগালের বাইরে থাকলেও খেলায় উত্তাপ ছড়িয়েছেন তারা।
সপ্তম উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে
বিপর্যয় সামলে আর ম্যাচে ফিরতে পারছে না জিম্বাবুয়ে। এবার নেভাল মাডজিবা ফিরেছেন রান আউটে। ১৩তম ওভারে ৬৬ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে হার দেখছে তারা।
আমিনুলের দ্বিতীয় শিকার মাসাকাদজা
অভিষেকেই নিজেকে দারুণভাবে চেনাচ্ছেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ১৯ পেরুনো এই তরুণ প্রথম ওভারের মতো নিজের দ্বিতীয় ওভারেও পেয়েছেন উইকেট। এবার তার গুগলিতে পরাস্ত হয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ২৫ বলে ২৫ করা মাসাকাদজার বিদায়ে ৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হার দেখছে জিম্বাবুয়ে।
শফিউলের দ্বিতীয় শিকার বার্ল
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন রায়ান বার্ল। সেই বার্ল ফিরতি দেখাতে শুরুতেই হলেন কুপোকাত। ৩ বলে ১ রান করা বার্লকে সরাসরি বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলেছেন শফিউল ইসলাম। ৩৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে জিম্বাবুয়ে।
প্রথম ওভারে উইকেট অভিষিক্ত আমিনুলের
চমক হিসেবেই দলে এসেছিলেন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ওভারেই ঝলক দেখালেন তিনি। তার গুগলিতে ইনসাইড আউট শট খেলতে গিয়েছিলেন টিনোটেন্ডা মুতুম্বুজি। লং অফে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি। ১৭৬ রান তাড়ায় ৩৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে
আলাদা তিন বোলার নিজেদের প্রথম ওভারেই পেলেন উইকেট। সাইফুদ্দিন, সাকিবের পর নিজের প্রথম ওভারে এবার আঘাত হানলেন শফিউল ইসলাম। দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই উইকেট পেলেন তিনি। তার বলে পেটাতে গিয়ে শন উইলিয়ামসন ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। ৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়েছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দল।
প্রথম ওভারে সাইফুদ্দিন উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে সাকিব আল হাসান এসেও পেয়েছেন সাফল্য। আগের ম্যাচে ভালো ব্যাট করে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন কাজে লাগাতে পারেননি রেজিস চাকাভা। সাকিবকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে লাইন মিস করেন তিনি, ভেতরে ঢোকা বল আঘাত হানে তার স্টাম্পে। ১৭৬ রান তাড়ায় ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে জিম্বাবুয়ে।
শুরুতেই টেইলরকে ফেরালেন সাইফুদ্দিন
১৭৬ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের করা পঞ্চম বল উড়াতে গিয়ে মিড অফে সাকিবের হাতে তুলে দেন ব্র্যান্ডন টেইলর। কোন রান করার আগেই তাই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
লিটন দাসের শুরুর ঝড়, মুশফিকুর রহিমের মাঝারি ইনিংস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানের শক্ত পূঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৫/৭ (শান্ত ১১, লিটন ৩৮, সাকিব ১০, মুশফিক ৩২, মাহমুদউল্লাহ ৬২, আফিফ ৭, মোসাদ্দেক ২, সাইফউদ্দিন ৬*, আমিনুল ০*; এনলভু ০/৩২ জার্ভিস ৩/৩২, এমপুফু ২/৪২, উইলিয়ামস ০/২৬, বার্ল ১/১৩, মুটম্বোদজি ১/১৭, মাদজিভা ০/১০)।
দলকে শক্ত অবস্থায় নিয়ে বিদায় মাহমুদউল্লাহর
নেমেই চার মেরে শুরু করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আগের ম্যাচে ৪৪ রান করে দেখিয়েছিলেন ছন্দ। সেই ছন্দই বজায় রেখেছেন চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ওপেনিংয়ে লিটন দাসের ভালো শুরুর পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। মুশফিক ফিরলেও ৩৭ বলে ফিফটি তুলে মাহমুদউল্লাহই দলকে পাইয়ে দেন শক্ত পূঁজি। শেষ ওভারে আউত হওয়ার আগে ৪১ বলে ৬২ রান করেন তিনি। মাত্র এক চারের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ মেরেছেন ৫টি ছক্কা। তার আউটের সময় দলের রান ৫ উইকেটে ১৬৯ ।
আফিফের বিদায়
শেষ দ্রুত রান বাড়ানোর তাড়া ছিল। সেই চাহিদা মেটাতে এবার আগ্রাসী হয়ে উইকেট বিলিয়েছেন প্রথম ম্যাচে দলকে জেতানোর হিরো আফিফ হোসেন। তিনি ৮ বলে ৭ রান করে আউট হলে ১৫৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ছক্কা মেরে মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
আগের ম্যাচে ৬ রানের জন্য ফিফটি মিস করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এবার তা হয়নি। এমপুফুকে ছক্কা মেরে ৩৭ বলে পৌঁছান ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটিতে। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে ২৬ ম্যাচ পর ফিফটি পেলেন মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশের দেড়শ
১৭.৫ ওভারে ১৫০ রান স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ খেলছেন ৪৭ রান নিয়ে, আফিফ হোসেন আছেন ৫ রানে।
বড় জুটির পর মুশফিকের বিদায়
আগের ওভারে ২৯ রানে জীবন পেয়েছিলেন। সেই জীবন বেশি কাজে লাগল না মুশফিকুর রহিমের। টিনোটেন্ডা মুতুম্বুজির বল ঘোরাতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগে মুশফিকের। এবার দুইবারের চেষ্টায় ক্যাচ ধরেন উইকেটরক্ষক টেইলর। ১৭তম ওভারে ১৪৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আউট হওয়ার আগে অবশ্য চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৫৫ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে গেছেন মুশফিক। করে গেছেন ২৬ বলে ৩২ রান।
জীবন পেলেন মুশফিক
ক্রিস্টোফার এমপুফুর আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন। লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়া পরের বলটা ফাইন লেগ দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু বল তার গ্লাভসে লেগে গেল উইকেটের পেছনে ব্র্যান্ডন টেইলরের কাছে। টেইলর অবশ্য রাখতে পারলেন না তা। ২৯ রানে জীবন পেলেন মুশফিক। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৩৪। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটিতে পঞ্চাশ তুলে দলকে টানছেন মুশফিক।
৬৫ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর হাল ধরেছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই খেলছেন সাবলীলভাবে। তাদের ব্যাটে দ্বাদশ ওভারেই একশো পেরিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২১ রান। মুশফিক অপরাজিত আছেন ২২ রানে , মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করছেন ৩৪ রান নিয়ে।
ওপেনাররা ঝড় শুরু এনে দিয়ে ফেরার পর দলকে বড় সংগ্রহে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিলেন সাকিব আল হাসানদের। কিন্তু অধিনায়ক ব্যাটিংয়ে আরেকবার ব্যর্থ হয়েছেন। লেগ স্পিনার রায়ান বার্লের বলে ৯ বলে ১০ রান করে সাকিব সহজ ক্যাচ তুলে দেন লং অফে শন উইলিয়ামসের হাতে। অষ্টম ওভারে ৬৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ঝড় তুলে বিদায় লিটনের
শুরু থেকেই দারুণ খেলছিলেন লিটন দাস। আগ্রাসী ব্যাটে দিচ্ছিলেন বড় কিছুর ইঙ্গিত। এগুচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্রিস্টোফার এমপুফুর লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যেতে থাকা বলে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন তিনি। বাজে এই বলের সুবিধা কাজে লাগানোর বদলে লিটনের টপ এজ উঠে যায় আকাশে। ফাইন লেগে নেভেল মাডজিবা অনেকখানি দৌড়ে সেই ক্যাচ হাতে জমান। ২২ বলে দুই ছক্কা আর চারটি চারে শেষ হয় লিটনের ৩৮ রানের ইনিংসে। পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রান তুললেও দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ।
সহজ ক্যাচে বিদায় অভিষিক্ত শান্তর
এক পাশে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন লিটন দাস। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত পেয়েছিলেন সময় নিয়ে খেলার সুযোগ। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। কাইল জার্ভিসের পেস বুঝতে না পেরে ফ্লিক করে বোলারের হাতেই উঠিয়ে দেন সহজ ক্যাচ। পঞ্চম ওভারে ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৯ বলে ১ চারে ১১ করে ফেরেন শান্ত। সৌম্য সরকারের বদলে দলে এসে অভিষেকটা ভালো হলো না তার।
শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজ নিয়ে নেমে দারুণ ঝড় তুলেছেন লিটন দাস। কাইল জার্ভিসকে দুই চার মারার পর এনলুবুকে পিটিয়ে এক ওভার থেকেই তুলেছেন ২০ রান। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩২,এরমধ্যে লিটন একাই করেছেন ১৫ বলে ৩০ রান।
রিভিউ হারালো জিম্বাবুয়ে
বাঁহাতি স্পিনার আনিসলো এনলুবুকে দিয়ে বোলিং শুরু করেছিলেন জিম্বাবুয়ে। এই স্পিনারের পঞ্চম বলটা সুইপ করতে গিয়েছিলেন লিটন দাস। ব্যাট লাগাতে না পারায় হয় জোরালো এলবিডব্লিও আবেদন। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বল ইম্পেক্ট ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। শুরুতেই তাই বোলিংয়ের একমাত্র রিভিউটি হারিয়ে বসেছে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দল।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে তিন পরিবর্তন
ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় দেখায় বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচের আগেই স্কোয়াডে বড় বদল হওয়ায় তার ছাপ লেগেছে একাদশেও। তিনটি পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।
চমক হিসেবে দলে আসা লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের অভিষেক হচ্ছে এই ম্যাচে। তিনি দলে আসায় বাদ পড়েছেন তাইজুল ইসলাম। অভিষেক হচ্ছে এর আগে দুই টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তর। সৌম্য সরকারের বদলে দলে এসেছেন শান্ত।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
Bangladesh have lost the toss and put into bat first in the fourth match of Tri-Nation T20I Tournament against Zimbabwe in Chattogram.#BCB #BANvZIM#RiseOfTheTigers pic.twitter.com/BNO2blt9ES
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) September 18, 2019
ফাইনালে উঠার ম্যাচ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জেতার পর আফগানিস্তানের কাছে হার। আবার সেই জিম্বাবুয়েকে হারালেই বাংলাদেশ এক ম্যাচ বাকি রেখেই উঠে যাবে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে। টুর্নামেন্টের ফরম্যাটই এমন, বাংলাদেশ জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত হবে আফগানিস্তানেরও।
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অবশ্য স্কোয়াডে বেশ বড়সড় বদল এনেছেন নির্বাচকরা। বাদ গেছেন চারজন, এসেছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচের দলে থাকা সৌম্য সরকার তো আছেনই। কাজেই এই ম্যাচের একাদশ বদল নিশ্চিতই।
নিজেদের ফিরে পাওয়ার লড়াই
বিশ্বকাপের পর থেকেই শুরু হওয়া দুঃসময় এখনো কাটেনি। টানা ব্যর্থতা থেকে বেরুতে সাকিব আল হাসান চান সাফল্য। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ের কাছে হারতে হারতে জেতার পর আফগানিস্তানের কাছে উড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দল আছে নড়বড়ে। অধিনায়ক নিজেই স্বীকার করেছেন তাদের আত্মবিশ্বাস তলানীতে। দলের বাজে অবস্থায় টুর্নামেন্টের মাঝপথেই আনা হয় বড় বদল। এবার খোলনলচে বদলে নিজেদের ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ দল।
Comments