‘মাস্টার’ ওয়ালশের বিদায়
দেশে ফেরার বিমান ধরতে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা টেক্সি ডেকে পরিবার সমেত রওয়ানা হচ্ছিলেন বিমানবন্দরের দিকে, যারা পরিবার ছাড়া ছিলেন তারাও একে একে উঠলেন টিম বাসে। সেখানে যোগ দিলেন প্রধান কোচ স্টিভ রোডসও। কিন্তু কোর্টনি ওয়ালশকে দেখা গেল আলাদা পথ ধরতে। একা একা টেক্সি ডেকে মলিন চেহারার হোটেল থেকে বিদায় নিলেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ। পরে নিশ্চিত হওয়া গেল এটাই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তার শেষ বিদায়ও।
রয়্যাল ল্যাঙ্গকাস্টার হোটেলে শনিবার দুপুর থেকেই বিদায়ের সুর। সাকিব আল হাসান স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ইউরোপে ঘুরে বেড়াবেন। আরও তিনজনও ঘুরেটুরে পরে ফিরবেন দেশে। পারফরম্যান্স এনালিস্ট শ্রীনিবাসন চন্দ্রশেখরন যাবেন ভারতে। এছাড়া কোচিং স্টাফের বাদবাকি সবাই আর এগারো ক্রিকেটার পথ বাংলাদেশে।
কিন্তু ওয়ালশ বিমানবন্দরে নয়, থেকে গেলেন লন্ডনেই। টিম হোটেল ছেড়ে, বাংলাদেশ দল ছেড়ে আপাতত নতুন চাকরির খোঁজ করতে হবে তাকে। টিম হোটেল ছাড়ার সময় আলাপ জমাতেই, মুখে শুকনো হাসি নিয়ে ‘শুভ বিদায়’ বলে তড়িঘড়ি গাড়িতে করে রওয়ানা দেন তিনি। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ওয়ালশকে ডাকতেন 'মাস্টার' বলে। কিংবদন্তি এই ক্যারিবিয়ান পেসার তার অভিজ্ঞতার ঝাঁপি থেকে বাংলাদেশকে ঋদ্ধ করবেন বলে প্রত্যাশা ছিল চড়া।
ওয়ালশের সঙ্গে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্তই চুক্তি ছিল বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই সময়ে পেসারদের যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ার তার সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করছে না বিসিবি। জানা গেছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে অমন হারের পর লন্ডনের একটি হোটেলে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানসহ কয়েকজন পরিচালক জরুরী সভায় বসেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় ওয়ালশকে না রাখার।
কেবল ওয়ালশই নয়, বিশ্বকাপেই চুক্তি শেষ হওয়া ফিজিইও থিহান চন্দ্রমোহনের সঙ্গেও সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলতে যাচ্ছে বিসিবি। বিশ্বকাপের পুরোটা সময় ছোটবড় চোটে জর্জরিত ছিল বাংলাদেশ দল। চোট ব্যবস্থাপনার পুরো দায় নিয়েই তাই ফিজিওকে বিদায় নিতে হচ্ছে।
ওয়ালশ না থাকলে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের কোচ চম্পাকা রামানায়েকে পেতে পারেন পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব।
২০১৬ সালের অগাস্টে বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেন ওয়ালশ। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব দেয় বিসিবি। কিন্তু এই সময়ে পেসারদের যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় ওয়ালশের পারফরম্যান্স নিয়েও উঠে প্রশ্ন।
Comments