আমাদের আরেকটু মরিয়াভাবে চেষ্টা করা উচিত ছিল: সাকিব
বিশ্বকাপে কেমন খেলল বাংলাদেশ? শেষ দিক পর্যন্ত সেমিফাইনালের আলোচনায় থাকাকেই অর্জন ভাবছেন অনেকে। কিন্তু ভারতের কাছে হারের পর সাকিব আল হাসান ভাবছেন অন্যভাবে। যে লক্ষ্য নিয়ে তারা বিশ্বকাপে এসেছিলেন তা যে পূরণ হয়নি, স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকি লক্ষ্য পূরণে সবার আরেকটু তীব্র চেষ্টার অভাবও দেখছেন সাকিব।
মঙ্গলবার ভারতের কাছে ২৮ রানে হেরে যাওয়ায় সেমির আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ। শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা তাই কেবলই আনুষ্ঠানিকতার।
ভারতের বিপক্ষে ৩১৫ রান তাড়া করে ২৮৬ রানে আটকে যায় বাংলাদেশ। পুরো টুর্নামেন্টে অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা সাকিব ওইদিনও দলের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ৬৬ রান। তার ব্যাটে একটা সময় ভারতকে চেপে ধরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের কাছে। পরে হারলেও তাই প্রশংসা পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এসব প্রশংসা আবার উলটো গা জ্বলুনি দিচ্ছে সাকিবকে। ম্যাচ শেষে সম্প্রচার সত্ত্ব পাওয়া চ্যানেলকে সাক্ষাতকারে তিনি বলেন ‘যথেষ্ট ভালো আমরা খেলেছি বটে, কিন্তু কেবল যথেষ্ট ভালোই আমরা খেলতে চাইনি, আমরা চেয়েছি জিততে। সেটা সম্ভব হয়নি। এত বড় টুর্নামেন্টে যে আশা নিয়ে আমরা এসেছিলাম তা পূরণ করতে পারলাম না, সেদিক থেকে হতাশাজনক। ছোট ছোট কিছু জিনিস ঠিক করে করতাম তাহলে হয়ত ফল ভিন্ন হত।’
সাকিব ছাড়া দলের সিনিয়রদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ মাঝেমাঝে ভাল খেলেছেন। তামিম ইকবাল আর মাশরাফি মর্তুজা ছিলেন একেবারেই বিবর্ণ। কারো নাম না নিয়েই মাঠের ঠিকঠাক প্রয়োগটা নিয়ে আফসোস তার, ‘আমার মনে হয় কোন কোন সময় এপ্লিকেশন আরও ভাল হলে আমরা ভাল অবস্থায় যেতে পারতাম। সেটা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব দিকে। হ্যাঁ পুরো বিশ্বকাপে হয়ত অনেক ইতিবাচক দিক আছে। কিন্তু ওইগুলা বলে লাভ নাই। কারণ দিনশেষে ফলটা ম্যাটার করে। ’
হাতে বাকি আছে আর একটাই ম্যাচ। কিন্তু এই পর্যন্ত যা খেলা হয়েছে তাতে আগের সব বিশ্বকাপের সাফল্যকে ছাপিয়ে না যাওয়ারও আফসোস সাকিবের, ‘২০১১, ২০১৫ আর ২০১৯ এই তিন বিশ্বকাপে আমরা মাত্র তিন ম্যাচ করে জিতেছি। তফাত হচ্ছে এই বিশ্বকাপে আমরা ধারাবাহিকভাবে অনেক ভাল খেলেছি। এর থেকে বেশি কিছু বলব না। কারণ আমার মনে হয় এর থেকে বেশি কিছু করার সুযোগ ছিল যেটা আমরা করতে পারিনি।’
শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে কোন জ্বালানি নিয়ে নামবে বাংলাদেশ। কোন তাড়নায় সর্বোচ্চ নিংড়ে দিবেন তারা? সাকিব এই জায়গা ছেড়ে দিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের উপর। বরং সব আশা শেষ হওয়ার পর সাকিবের মনে হচ্ছে আরেকটু তীব্র চেষ্টার দরকার ছিল তাদের, ‘জানি না পরিকল্পনা কি হবে (পাকিস্তান ম্যাচে)। অধিনায়ক, কোচ সিদ্ধান্ত নিবেন তারা কীভাবে খেলতে চান, সেভাবে আমাদের খেলতে হবে। একটা জিনিস বলতে পারি সবাই চেষ্টা করছে, সবাই যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করছে কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আমাদের আরেকটু মরিয়াভাবে চেষ্টা করা উচিত ছিল।’
Comments