মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া অবৈধ: হাইকোর্ট
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য ১৯৭১ সালে সর্বনিম্ন যে বয়স থাকার কথা সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দয়া হয়েছিল হাইকোর্ট আজ তাকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন।
২০১৪ সালে সরকারের তরফে দেওয়া এক পরিপত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। এর পর গত বছর জানুয়ারি মাসে এটি সংশোধন করে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি স্বীকৃতির জন্য ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর ন্যূনতম বয়স ১২ বছর ছয় মাস হতে হবে।
হাইকোর্ট আজ সরকারের এই পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করে দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই সরকারের। সেই সঙ্গে এই নিয়মের কারণে যারা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তাদের ভাতা দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
পৃথক ১৫টি রিটের ওপর রায় ঘোষণাকালে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওই সরকারি পরিপত্রকে চ্যালেঞ্জ করে প্রায় ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা এই রিটগুলো করেছিলেন।
রিটকারীদের একজন বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মাহমুদ হাসান রিট আবেদনে বলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই ১৯৮৮ সালের ২৬ জুন অধিদপ্তরে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরিপত্রে বেঁধে দেওয়া ন্যূনতম বয়সসীমা অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর তার বয়স ছিল ১২ বছর ৪ মাস ১২ দিন। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী।
Comments