কোন জবাবদিহিও করতে হলো না সাকিবকে
বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অফিসিয়াল ফটোসেশন উপেক্ষা করা সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে নমনীয় হলো বিসিবি। আনুষ্ঠানিক বার্তা পেয়েও তিনি কেন ফটোসেশনে আসেননি, তার কারণ জানতে চেয়ে কোন লিখিত চিঠিও দেয়নি বোর্ড। সাকিবের মৌখিক কথায় সন্তুষ্ট হয়ে এই ব্যাপারটি নিয়ে আর এগুচ্ছেন না তারা।
বুধবার জার্সি বদল নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের ফটোসেশনে না থাকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের কাছে। বোর্ড প্রধান জানান সাকিব বিসিবির মেইল পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা খুলে না দেখায় জানতে পারেননি ফটোসেশনের কথা, ‘আমাকে বলেছে, বোর্ড থেকে বার্তা পেয়েছে ঠিকই কিন্তু সেটা সে খুলে দেখেনি। তাই জানতো না বিসিবিতে ফটোসেশন আছে। এটাই সে বলেছে। যাই হোক, এটি হতেও পারে। সে বলেছে যে, জানলে অবশ্যই থাকতো।’
যে বার্তায় ফটোসেশনের কথা সাকিবকে জানানো হয়েছিল একই বার্তায় জার্সি গ্রহণ করার কথাও ছিল। সাকিব মঙ্গলবার মাঠে এসে জার্সি নিয়ে ফেরত চলে যান। অংশ নেননি ফটোসেশনে। জার্সি গ্রহণের কথা জানলে তার ফটোসেশনের কথাও জানার কথা। ওই দিন ফটোসেশনে সাকিবকে না দেখে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বোর্ড প্রধান, ফটোসেশনের কথা যে সাকিব জানতেন সেদিনই নিশ্চিত করেছিলেন তিনি, ‘আমি এসে জিজ্ঞেস করে জানলাম যে ওকে আগেই জানানো হয়েছিল আজ ফটোসেশন। জাতীয় দল যাচ্ছে, একসঙ্গে ফটোসেশন। সবাই থাকবে। আশা করেছিলাম সে থাকবে, কিন্তু সে নাই।’
কেবল অফিসিয়াল বার্তায় নয় সাকিবকে মৌখিকভাবেও ফটোসেশনের কথা জানানো হয়েছিল বলে সেদিনই নিশ্চিত করেছিলেন একজন বোর্ড পরিচালক। এমনকি সাকিব বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও তাকে ফটোসেশনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি জানান তার হাতে সময় নেই।
জেনেও ফটোসেশন উপেক্ষা করায় সাকিবকে কোন ধরণের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে না। এমনকি তেমন কোন জবাবদিহিও করতে হয়নি তাকে। বিসিবির বার্তা পেয়ে তিনি কেন তা গুরুত্ব দেননি, খুলে দেখেননি মেইল তাও জানতে চাওয়া হয়নি তার কাছে।
অবশ্য বিশ্বকাপ সামনে থাকায় আপাতত সাকিবের এই কাণ্ডে যে বিসিবি কঠোর হবে না সে ইঙ্গিত মঙ্গলবারই দিয়েছিলেন বোর্ড প্রধান, ‘যেহেতু দল চলে যাচ্ছে এটা নিয়ে তাই বেশি কিছু বলতে চাইছি না। তবে আমি মনে করি এটা দুঃখজনক।’
এর আগে শৃঙ্খলাভঙ্গ করায় একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েছেন এই তারকা। তবে এবার কেবল শৃঙ্খলাভঙ্গ নয়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল দলের স্পিরিট নষ্ট করার। যদিও বিশ্বকাপ সামনে থাকায়, দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হওয়ায় স্পিরিট বিরোধী আচরণ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
Comments