বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস’
টেস্ট আর ওয়ানডেতে জেতার পর দাপট নিয়েই টি-টোয়েন্টিতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং পেয়ে উইন্ডিজকে বিশাল রান চাপানোর নেশায় আগ্রাসী ব্যাট চালাতে গিয়েছেন প্রায় সবাই। কিন্তু প্রয়োগটা ঠিকমতো না হওয়ায় অল্প রানে গুটিয়েই বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের বেহাল দশার দিন ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি মনে করেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী পুড়িয়েছে বাংলাদেশকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের কাছে একপেশে হারের দিনে মূল কারণ ছিল ব্যাটিং ব্যর্থতা। ওশান টমাস আর শেলডন কোটরেলের গতি-বাউন্সে গড়বড় করে বিপর্যস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ১২৯ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হেরেছে ৮ উইকেটে।
ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি মনে করেন উইন্ডিজ পেসারদের গতি ব্যবহার করতে না পারাতেই ভুগেছে বাংলাদেশ, ‘কোটরেল আর টমাস শুরুতে বাড়তি গতিতে বল করেছে। আমরা জানতাম তারা উইকেট বল জোরে মারবে। সাকিব (৬১ রান করে) দেখিয়েছে আমরা গতিটা ব্যাবহার করতে পারতাম। আমার মনে হয় আমরা অতিরিক্ত আগ্রাসী হয়েছি, গতি ব্যাবহার করার বদলে কেবল তেড়েফুঁড়ে মারতে চেয়েছি।’
তৃতীয় ওয়ানডের আগে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পেস বলে অস্বস্তির কথা জানিয়েছিল উইন্ডিজ। তবে ম্যাকেঞ্জি মনে করেন পেসে ভয়ে ভীত নয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ডুবে মরেছেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাতে গিয়ে, ‘যদি বল নাকের পাশ দিয়ে সাঁই সাঁই করে যেত আর তাতে কাবু হতে দেখতাম তাহলে বুঝতাম তারা ভীত। কিন্তু আজ ব্যাপারটা ছিল অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের। যদি তিনটা আউট (তামিম, লিটন, সৌম্য) দেখেন। লিটন ১৪০ কিমি গতিতে এগিয়ে এসে মারতে গিয়েছে। ওইরকম করতে অনেক সাহস আর বিশ্বাস দরকার। তামিম দারুণ ফর্মে ছিল। সে এগিয়ে গিয়ে স্কয়ারে খেলতে চেয়েছিল, সৌম্যও তাই।’
‘উইকেটে অতিরিক্ত বাউন্স ছিল। যেভাবে তারা শর্ট বল খেলেছে আমি তা নিয়ে শঙ্কিত নই। আমার মনে হয় খেলাটা হয়েছে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস থেকে। সবাই চেষ্টা করেছে একের পর এক মারতে। মাঝেমাঝে আক্রমণ করার চাইতে স্থির থেকে খেলা কাজে দেয়।’
Comments