ব্যাটিং দেখে কে বলবে তামিম নেমেছিলেন আড়াইমাস পর
গত ১৫ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই চোটে পড়ে ছিটকে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সেই ম্যাচে দলের স্বার্থে তার এক হাতে ব্যাট করার দৃশ্য এখনো অনেকের মনে তরতাজা। নাটকীয়তায় ভরা ওই ম্যাচের আড়াইমাস পর কোন ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অথচ যেভাবে ব্যাট করেছেন, এতদিন যে মাঠের বাইরে ছিলেন তা বোঝার কোন উপায় রাখেননি।
চোটের কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেরার কোন উপায় ছিল না তামিমের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেই ফেরার জন্য তৈরি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নতুন করে বাধা পাঁজরের চোটে ছিলেন না টেস্টেও। সেই চোটও কাটিয়ে ফেরার পর নিজেকে ঝালাই করার একমাত্র সুযোগ ছিল আজকের প্রস্তুতি ম্যাচ। সুযোগ ষোলআনা কাজে লাগিয়ে তামিম নিজের মনের সব খুঁতখুঁতানি দূর করেছেন ব্যাটের ঝাপটায়।
টস জিতে আগে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিসিবি একাদশকে দিয়েছিল ৩৩১ রানের বড় লক্ষ্য। এই ম্যাচে হার-জিতের চেয়েও বড় প্রশ্ন ছিল কেমন করেন তামিম। ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ইনিংস ওপেন করতে গিয়েই ঝড় তুলেন তিনি। দল পায় উড়ন্ত সূচনা। নবম ওভারে দলের ৮১ রানে ২৭ রান করা ইমরুল ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তবে সৌম্য সরকারকে নিয়ে এরপর ১১৪ রানের আরেক জুটি গড়েন তামিম।
তার ব্যাটে ছিল সেই পুরনো বাহার। ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়েছেন, চোখ ধাঁধানো কাভার ড্রাইভ খেলেছেন, স্কয়ার কাট মেরেছেন বিদ্যুৎ গতিতে। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠের আশেপাশে ঝড়ো হওয়া হাজারো দর্শককে মাত করে ৭০ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান তামিম।
সেঞ্চুরির পরই অবশ্য আরও একটি ছক্কা মেরে আউট হয়ে যান তিনি। ৭৩ বলের ১০৭ রানের ইনিংসে ১৩ চারের সঙ্গে ছিল চারটি ছক্কা।
পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখা গেছে তাকে। ফিটনেস বাড়াতে একা একাই নিজেকে শান দিয়েছেন। ব্যাট হাতে নেওয়ার পর চালিয়েছেন লম্বা সেশন। তবু প্রস্তুতির খানিকটা ঘাটতি দেখেই খেলতে চেয়েছিলেন এই প্রস্তুতি ম্যাচ। তামিম যেভাবে ব্যাট করেছেন তার মনের কোন থেকে এখন সব রকমের অস্বস্তিই আজ উবে যাওয়ার কথা। এমন সেরা ছন্দের তামিমকে পেয়ে নিশ্চিতভাবে ফুরফুরে বাংলাদেশ দলও।
Comments