ট্যাংকের পর জঙ্গি বিমান চাইছে ইউক্রেন

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের মহড়া পরিচালনা করছে পাকিস্তান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের মহড়া পরিচালনা করছে পাকিস্তান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ন্যাটো মিত্রদের কাছ থেকে বেশ কিছু অত্যাধুনিক ট্যাংক সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ার পর ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা এখন মার্কিন এফ-১৬ এর মতো চতুর্থ প্রজন্মের জঙ্গি বিমান চাইবে।

গতকাল বুধবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ইউক্রেনকে ভারী ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভের উপদেষ্টা ইউরিই সাক বলেন, 'আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য জঙ্গি বিমান। আমরা যদি এগুলো পাই, তাহলে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় আকারের সুবিধা পাব। শুধু এফ-১৬ নয়, আমরা চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধ বিমান চাই। এটাই আমাদের চাহিদা।'

ইউক্রেন বিমানবাহিনীর কাছে সোভিয়েত আমলের পুরনো কিছু জঙ্গি বিমান রয়েছে, যা প্রায় ৩১ বছর আগে নির্মাণ করা।

রাশিয়া হামলা করার আগে ইউক্রেনকে কোনো ধরনের সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় না থাকলেও যুদ্ধের শুরু থেকেই পশ্চিমের মিত্ররা কিয়েভকে অস্ত্র-সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করেনি।

সাক বলেন, 'তারা আমাদেরকে ভারী কামান দিতে না চাইলেও পরে দিয়েছে। একইভাবে, তারা আমাদেরকে হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও ট্যাংক দিতে না চাইলেও পরবর্তীতে তা দিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া তাদের কাছ থেকে আমরা সবকিছু পাবো বলেই আমার ধারণা।'

তবে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ জানান, ইউক্রেনে জঙ্গি বিমান পাঠানোর একেবারেই কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, 'যুদ্ধের একেবারে শুরুতেই আমি বিষয়টি পরিষ্কার করেছি। যুদ্ধ বিমান পাঠানোর বিষয়টি আলোচনায় ছিল না এবং এখনো নেই। কোনো অবস্থাতেই পদাতিক সেনা পাঠানো হবে না। আমি বলেছি, ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর সেনাবাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না। এর ব্যত্যয় এখনো হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না। এ বিষয়ে সবাই আস্থা রাখতে পারেন।'

জার্মানি ইউক্রেনে তাদের সবচেয়ে আধুনিক ট্যাংক লেপার্ড-২ পাঠানোর বিষয়টি অনুমোদন করার পর ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো।

শোলজ জানান, তিনি ও পশ্চিমের মিত্ররা ইউক্রেনকে অব্যাহত সহায়তা দেবে।

ইউক্রেন বিমানবাহিনীর কাছে সোভিয়েত আমলের পুরনো কিছু জঙ্গি বিমান রয়েছে, যা প্রায় ৩১ বছর আগে নির্মাণ করা। ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেন বিমানবাহিনীর কাছে সোভিয়েত আমলের পুরনো কিছু জঙ্গি বিমান রয়েছে, যা প্রায় ৩১ বছর আগে নির্মাণ করা। ছবি: রয়টার্স

তিনি বলেন, 'আমরা ইউক্রেনের সহায়তায় যা প্রয়োজন এবং যতটুকু সম্ভব, তা করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। কিন্তু একইসঙ্গে এই যুদ্ধ যেন রাশিয়া বনাম ন্যাটোর যুদ্ধে পরিণত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।'

'জ্যুস' নামে পরিচিত ইউক্রেনের এক বৈমানিক রয়টার্সকে জানান, গত মাস থেকে তারা অনেকেই অবসর সময়ে ইংরেজি শিখছেন। তাদের প্রত্যাশা, কিয়েভ কোনো একদিন এফ-১৬'র মতো বিদেশি যুদ্ধ বিমান পেতে পারে, যা পরিচালনার জন্য ইংরেজি জানার প্রয়োজন হতে পারে।

ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পরোশেনকো জানান, পশ্চিমের কাছ থেকে প্রত্যাশিত পরবর্তী উল্লেখযোগ্য অস্ত্র হতে পারে জঙ্গি বিমান।

পরোশেনকো বলেন, 'রুশ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ও লজিস্টিক ঘাঁটিগুলোতে পৌঁছাতে আমাদের প্রয়োজন জঙ্গি হেলিকপ্টার ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। বসন্তে রাশিয়া বড় আকারে হামলা চালানোর আগেই আমাদের হাতে এগুলো আসা প্রয়োজন।'

'যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে জঙ্গি বিমান। আমাদের উচিৎ তাৎক্ষনিকভাবে ইউক্রেনের বৈমানিকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং দ্রুত এসব (জঙ্গি বিমান) তাদের কাছে পৌঁছানোর প্রস্তুতি নেওয়া', যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

US states worried about election unrest take security precautions

Many of the most visible moves can be seen in the battleground states that will decide the presidential election, states like Nevada where protests by Trump supporters broke out after the 2020 election.

1h ago