মার্কিন পারমাণবিক-নিরাপত্তা সহায়তার বিনিময়ে স্বাভাবিক হতে পারে সৌদি আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক

সৌদি আরবে এসে পৌঁছানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে 'ফিস্ট বাম্প' করে স্বাগত জানান সৌদি যুবরাজ এমবিএস। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সৌদি আরবে এসে পৌঁছানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে 'ফিস্ট বাম্প' করে স্বাগত জানান সৌদি যুবরাজ এমবিএস। ফাইল ছবি: রয়টার্স

এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আজ রোববার সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

সৌদি শহর ধহরানের এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে খসড়া কৌশলগত চুক্তির বিভিন্ন অংশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তির শর্তগুলো প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা, এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে।

ওয়াশিংটন ও রিয়াদ বেশ কিছুদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে।

মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি করার সময় 'দরকষাকষির' হাতিয়ার হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত জুড়ে দিচ্ছে।

এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ ও জো বাইডেনের শীর্ষ নিরাপত্তা সহযোগী গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ ও  'ইসরায়েল-ফিলিস্তিনে দুই রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা' নিয়ে আলোচনা করেন।

বাইডেন প্রশাসন ও সৌদি আরব পারমাণবিক সহায়তা চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য জোর উদ্যোগ চালাচ্ছে। তবে এখনো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি নিয়ে তেমন অগ্রগতি নেই।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ। যার ফলে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র নির্মাণের দিকে দেশটির খুব একটা উৎসাহ নেই।

তবে দেশটি টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হিসেবে পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করতে চাইছে। একই সঙ্গে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও রয়েছে এমবিএসের।

তবে সমালোচকরা বলছেন, পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দিলে যাতে সহজে সেই লক্ষ্য অর্জন করা যায়, সেটা নিশ্চিত করতে সৌদি আরব এই উদ্যোগ নিয়েছে।

তবে ওয়াশিংটন দাবি করেছে, চুক্তিতে এ বিষয়টি প্রতিহত করার জন্য শর্ত থাকছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus urges patience, promises polls roadmap soon after electoral reforms

He said the election train has started its journey and will not stop

8m ago