আজ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভোট

জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ চেম্বার। ফাইল ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ চেম্বার। ফাইল ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আজ ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন নিয়ে ভোটের আয়োজন করা হবে। বিশ্লেষকদের ধারণা, সাধারণ পরিষদ এই প্রস্তাবে সম্মতি দেবে এবং নিরাপত্তা পরিষদকেও প্রস্তাবটিকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার সুপারিশ জানাবে।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

বিশ্লেষকরা আরও জানিয়েছে, ভোটের ফলে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের অবস্থানের পরিবর্তন হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। এক মাস আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সদস্য হিসেবে একই ধরনের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল।

তবে এই ভোটে ফিলিস্তিনের পক্ষে বৈশ্বিক জনমতের প্রতিফলন দেখা যাবে বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা।

জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন।

সাধারণ পরিষদের এই খসড়া প্রস্তাবের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। তিনি জানান, 'এই প্রস্তাব পাস হলে ফিলিস্তিন প্রায়-রাষ্ট্রের (ডি ফ্যাকটো) মর্যাদা পাবে, যা জাতিসংঘের সনদের পরিপন্থী।'

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন।

সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের মিশন গতকাল জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে জানিয়েছে, এই খসড়া প্রস্তাব পাস করলে তা দীর্ঘদিন ধরে দীর্ঘ প্রত্যাশিত দুই-রাষ্ট্র নীতি বাস্তবায়নের পথে বড় অবদান রাখবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago