ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র কাঠামো নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র-আরব দেশ, ঘোষণা শিগগির

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়ে এই চুক্তিতে ইসরায়েলকে রাজি করানো যেতে পারে।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের পতাকা উড়িয়ে নব-নির্বাচিত নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করছেন তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইসরায়েলি শিক্ষার্থী। ফাইল ছবি: এএফপি (২০২৩)
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের পতাকা উড়িয়ে নব-নির্বাচিত নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করছেন তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইসরায়েলি শিক্ষার্থী। ফাইল ছবি: এএফপি (২০২৩)

যুক্তরাষ্ট্র ও বেশ কয়েক আরব দেশ মিলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শান্তি চুক্তির কাঠামো নিয়ে কাজ করছে, যার মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বাস্তবসম্মত সময়সীমা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয় এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

প্রতিবেদন মতে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ঘোষনা আসতে পারে।

এই দীর্ঘমেয়াদী শান্তি চুক্তির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হবে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি। মার্কিন ও আরব কর্মকর্তারা জানান, তারা প্রাথমিক ভাবে  অন্তত ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চালুর প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন।

এই পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত হওয়ার পর তা সর্বসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র। এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকার গঠন ও এই উদ্যোগের প্রতি আরও সমর্থন আদায় করার চেষ্টা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ইসরায়েল এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাজি হবে কী না, তা প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়নি।

প্রস্তাবিত পরিকল্পনার এমন কিছু ধাপ রয়েছে যা ইতোমধ্যে ইসরায়েল অস্বীকার করেছে। এ ধরনের কোনো উদ্যোগ ইসরায়েলের বর্তমান কট্টর ডানপন্থী সরকারের অনুমোদন পাবে বলে ভাবছেন না বিশ্লেষকরা।

রাফাহর শরণার্থী ক্যাম্প থেকে খান ইউনিসের হামলার দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স
রাফাহর শরণার্থী ক্যাম্প থেকে খান ইউনিসের হামলার দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

প্রস্তাবিত উদ্যোগের মধ্যে আছে অধিকৃত পশ্চিম তীরের অনেক জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়া, পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি রাজধানী স্থাপন ও পশ্চিম তীর ও গাজার সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সরকার।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়ে এই চুক্তিতে ইসরায়েলকে রাজি করানো যেতে পারে।

মার্কিন সরকার এর আগেও বিভিন্ন সময় এ অঞ্চলের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান হিসেবে 'টু স্টেট' (ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে অবস্থান) মডেলের কথা উল্লেখ করেছে। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago