সততা-স্পষ্টবাদিতায় আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন কার্টুনিস্ট কুদ্দুস

কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুস স্মরণে শোকসভা। ছবি: স্টার

কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুস সততা ও স্পষ্টবাদিতায় এ প্রজন্মের আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত শোকসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

এম এ কুদ্দুস আমৃত্যু ডিইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

শোক আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'মৃত্যুর কয়েকদিন পরই আমরা সবকিছু ভুলে যাই। তাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।'

সভাপতির বক্তব্যে ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, 'এম এ কুদ্দুস অসম্ভব মেধাবী, অদম্য সাহসী ও অনন্য দৃঢ়চেতা মানুষ ছিলেন। তিনি যে আলো জ্বেলে গেছেন সেই আলোয় আমরা পথ চলতে পারব।'

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, 'কুদ্দুসের চরিত্রের যে দৃঢ়তা ছিল, সেটা খুব কম মানুষের মাঝেই পাওয়া যায়। আমরা তাকে দীর্ঘদিন মনে রাখব।'
 
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, 'মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন একটু আলাদা। যা বিশ্বাস করতেন তাই করে দেখাতেন। শিশির দা ও রনবির পর সেরা কার্টুনিস্ট হলেন কুদ্দুস।'

বিএফইউজের বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, 'কুদ্দুস অত্যন্ত মেধাবী মানুষ হয়ে ভুল জায়গায় চলে এসেছিলেন। এই গণমাধ্যমে তার আসা ঠিক হয়নি। কারণ বাংলাদেশে সবচেয়ে অবহেলিত সাংবাদিক সমাজ। কুদ্দুস এত বড় একজন শিল্পী হলেও সরকারের পক্ষ থেকে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।'
 
শোকসভায় অংশ নেন বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Parking wealth under the Dubai sun

The city’s booming real estate has also been used by Bangladeshis as an offshore haven to park wealth for a big reason

9h ago