যাদের বড় কপাল, আজ তাদের দিন
চোখের ঠিক ওপরেই থাকে কপাল। আর সবার কপালের গঠন একরকম হয় না। কারো কপাল ছোট হয়, আবার কারো কপাল বেশ বড় হয়। কেউ কেউ কপালের সঙ্গে ভাগ্যের তুলনা করেন। সেই হিসেবে বড় কপাল মানে প্রশস্ত ভাগ্য।
অথচ বড় কপালের মানুষগুলো আফসোস করেন। এই আফসোস করা মানুষগুলোর জন্য একটি দিবস আছে। যাকে বলে 'বড় কপাল দিবস'।
এটি যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় দিবস এবং প্রতি বছরের ৩ আগস্ট দিবসটি উদযাপন করা হয়।
বিশ্বের নানান দেশে নানান সংস্কৃতি। বড় কপাল কিছু সংস্কৃতিতে বুদ্ধিমত্তা ও সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে, বেশিরভাগ সংস্কৃতিতে এর বিপরীত দৃশ্য দেখা যায়। যদিও সৌন্দর্যের ধারণাগুলো দেশভেদে আলাদা হয়ে থাকে। একটি জিনিস নিশ্চিত করে বলা যায়, সময়ের সঙ্গে তাল রেখে ফ্যাশনে নানান ট্রেন্ড যোগ হয়।
যেমন- রেনেসাঁর নারীদের কথাই ধরুন। তখন বড় কপালকে সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ বা ট্রেন্ড মনে করা হতো। সেই সময়ে বড় কপাল এতোটাই ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছিল যে, নারীরা কপাল বড় দেখাতে হেয়ারলাইন সরিয়ে ফেলেছিলেন। কিছু নারী কেবল হেয়ারলাইনই নয়, ভ্রুর লোমও তুলে ফেলেছিলেন।
মাঝখানে পেরিয়ে গেছে অনেকটা দিন। তারপর এলেন রানি প্রথম এলিজাবেথ। তিনি বড় কপালের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেন। যেহেতু তিনি রানি ও ফ্যাশনেবল ছিলেন, তাই বড় কপাল তখন আবার ট্রেন্ড হয়ে উঠে। অভিজাত নারী থেকে শুরু করে গৃহপরিচারিকা পর্যন্ত সবাই তার স্টাইল অনুসরণ করেছিলেন।
এমনকি কেউ কেউ হেয়ারলাইন থেকে স্থায়ীভাবে চুল তুলে ফেলেছিলেন। তবে, এটিই একমাত্র সময় নয়, যখন বড় কপাল জনপ্রিয় হয়েছিল। কোনো কোনো ধর্ম হাজার হাজার বছর ধরে বিশ্বাস করে আসছে, বড় কপাল সাফল্যের প্রতীক।
আসল কথা হলো সৌন্দর্যের ট্রেন্ড সময়ে সময়ে আসে এবং সংস্কৃতি থেকে সংস্কৃতিতে বিকশিত হয়। বড় কপাল সাধারণত পারিবারিক উত্তরাধিকার। তাই বড় কপাল নিয়ে আফসোসের কারণ নেই। এগুলো একটি পরিবারের জন্য অনন্য চিহ্ন। অতএব, যারা বড় কপাল নিয়ে হাসাহাসি করেন বা মজা করেন তাদের এড়িয়ে চলুন।
দিবসটির ইতিহাস নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
Comments