চট্টগ্রামে রাতভর যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ৩০
পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের সংঘর্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম নিহত হওয়ার পর চট্টগ্রামে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী তারেক আজিজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নগরীর কোতোয়ালির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ এখন তাদের পরিচয় যাচাই করছে।
এদিকে গতরাতে বন্দরনগরীর আবুল বিড়ি কারখানা এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীকে আটক করেছে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।
পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আটককৃতরা উপজেলা আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তারা এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। চট্টগ্রাম আদালত ও নগরীতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা মিছিল বের করার চেষ্টা করছিল।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং সংলগ্ন রঙ্গম কনভেনশন সেন্টার লেনের সেবক কলোনির বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
সূত্র জানায়, ওই কলোনিতে যারা থাকেন তারা মূলত সনাতন সম্প্রদায়ের। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেখানে আগুন দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও লালদীঘি এলাকার কাছে আন্দোলনকারীরা তাদের বাধা দেয়। নন্দন কানন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আলী বলেন, পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দুটি টিনের ছাদের ঘর ও দুটি দোকান পুড়ে গেছে।
তবে সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার আদালত চত্বরে সহিংসতার ঘটনায় মোট ১২ জনকে সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রাজীব পালিত বলেন, তাদের মধ্যে চারজনকে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে এবং অন্য একজনকে ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Comments