১১ মিলিমিটার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেল চট্টগ্রামের নিচু এলাকা

দুপুরে বৃষ্টির পর রাস্তায় হাঁটু পানি জমেছে রিয়াজউদ্দিন বাজারের গোলাম রসুল মার্কেটের সামনে। ছবি: স্টার

চট্টগ্রামে মাত্র ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন এলাকা। আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে বৃষ্টির পর এই অবস্থা তৈরি হয়।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নং গেট, আগ্রাবাদ, চকবাজার, বাকলিয়া, হালিশহর, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, ডিসি রোড, দামপাড়া, রিয়াজ উদ্দিন বাজার, আমতলা এলাকার রাস্তায় হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি জমেছে।

দুপুর ২টার দিকে আমতল এলাকায় দেখা যায় রাস্তা হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু যানবাহন পানিতে বিকল হয়ে যাওয়ায় সড়কে যানজট তৈরি হয়। গোলাম রসুল মার্কেটের নিচতলায় পানি ঢুকে পড়ায় শুধু দোকানদারদেরই নয়, ক্রেতাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

দামপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়।

মুরাদপুর থেকে ষোলশহর ২নং গেট সড়কও পানিতে তলিয়ে যায়। পানির নিচে থাকা শক্ত পদার্থের আঘাতে রিকশার চাকার স্ক্রু ভেঙ্গে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন রিকশাচালক বাবু দাস। হাঁটু পানির মধ্যে দিয়ে রিকশা ঠেলে নিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে।

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কে উন্মুক্ত ম্যানহোল চিহ্নিত করছেন একজন। ছবিটি শনিবার দুপুরে রিয়াজউদ্দিন বাজার গোলাম রসুল মার্কেটের সামনে থেকে তোলা। ছবি: স্টার

জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'রিকশা নিয়ে গ্যারেজে যাচ্ছি। আজকে সারা দিন কোনো উপার্জন হবে না। জানি না আজকে বাজার করব কীভাবে।'

দুপুরে রিয়াজ উদ্দিন বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন তনিমা আক্তার। বৃষ্টির সময় রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রাস্তার পাশের ড্রেন থেকে উপচে পড়া নোংরা পানির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি।

ড্রেনগুলো সব আবর্জনা দিয়ে আটকে আছে। তাই বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে নামছে না। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনের পানি রাস্তায় জমে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।'

যোগাযোগ করা হলে, চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মৌসুমি বায়ু এলাকায় সক্রিয় থাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্দরনগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

যোগাযোগ করা হলে, সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, বৃষ্টির সময় কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয় কারণ এলাকার ড্রেনগুলো জ্যাম ছিল। এ কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশিত হতে পারছে না।

তিনি বলেন, ড্রেনগুলো সিডিএর মেগা প্রকল্পের আওতাধীন নয়।

সিডিএ মেগা প্রকল্পের আওতাধীন নয় এমন ড্রেন ও খাল পরিষ্কারের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের। তবে বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য বারবার চেষ্টা করেও চসিকের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবুল হাসেম বা তার অধস্তন মোরশেদুল আলম চৌধুরী কেউ ফোন ধরেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Govt slashes heart stent prices by up to Tk 88,000

Health ministry revises rates for US-made coronary stents to ease patient costs

6m ago