ঘূর্ণিঝড় মোখায় গ্যাস সংকট: ১০০ পরিবারকে খাওয়ালেন চট্টগ্রামের দম্পতি

বাড়ির পার্কিংয়ে ১০০ পরিবারের জন্য রান্না ও খাবারের আয়োজন করেছেন দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত

প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা চলে গেলেও এর প্রভাবে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ। বাসাবাড়িতে জ্বলছে না গ্যাসের চুলা। দোকান থেকে খাবার কিনে খেয়েছেন অনেকেই। 

সংকটের কারণে চট্টগ্রামে কোনো ফিলিং স্টেশনে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে না। রাস্তায় গ্যাসচালিত যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন সাধারণত যাত্রীরা। 

গ্যাস না থাকায় ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে কেরোসিন চালিত চুলা, রাইস কুকার ও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের বিপত্তির শেষ নেই।

এ অবস্থায় চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় মখার বৈরী অবস্থায় বিপদে পড়া খেটে খাওয়া ১০০ পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন এক দম্পতি। নগরীর বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন নয়াহাটের নিজ বাড়িতে রোববার রাতে রান্না করা খিচুরি ও ডিমের তরকারি দিয়েই খাইয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষদের।

স্বামী মাসুক মিয়া রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ও স্ত্রী নাদিরা নুর শিল্প পুলিশের (চট্টগ্রাম-৩) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসবে কর্মরত আছেন। 

জানতে চাইলে নাদিরা নুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, সিএনজি চালক ও রিকশাচালকসহ ১০০ পরিবারের জন্য সামান্য আয়োজন করেছি।'

বাড়ির পার্কিংয়ের জায়গায় রান্না করে সেখানেই খাবার পরিবেশন করা হয়। গ্যাস সংকটে আগামীকাল সোমবার দুপুরেও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। 

'মানুষের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আমরা পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি,' বলেন নাদিরা। 

সেখানে খেতে গিয়েছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক কবির হোসেন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্যাস নেই গাড়ি নিয়ে বের হতে পারিনি। খাবার হোটেলগুলোতে ভিড় ও দাম বেশি। খবর পেয়ে রাতে এখানে খেতে এসেছি।'

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বন্ধ করা হয় শুক্রবার রাতে। মহেশখালীতে থাকা ভাসমান দুটি টার্মিনাল ইতোমধ্যে গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে আমদানি করে আনা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে গেছে। ফলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে দফায় দফায়। 

এ পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা। 

 

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

9h ago