আন্দোলনের পক্ষে লেখালেখি, চবির ২ শিক্ষকের বাসার সামনে ককটেল নিক্ষেপ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষকের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আবু তাহেরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।

গতরাত ২টার দিকে ক্যাম্পাসে ওই দুই শিক্ষকের বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোজাম্মেল হক এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান।

উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগে মোজাম্মেল হক উল্লেখ করেন, গতরাত ২টার দিকে ৬-৭টি মোটিরসাইকেলে করে ১৫-১৬ জন তরুণ তার বাসার সামনে যায়। এসময় তারা গালিগালাজ করে এবং ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রায় ৭-৮ মিনিট পর তারা চলে যায়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক মোজাম্মেল হক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের পক্ষে লেখালেখি করেছেন। গত ১৯ জুলাই একটি মানববন্ধনে বক্তব্যও দিয়েছেন। এ কারণে একটি পক্ষ তাকে ভয় দেখাতে এসব করছে। 

তবে তিনি বলেন, 'আমি উপাচার্যের কাছে এ ঘটনার বিচার চেয়েছি।'

ড. আতিয়ার রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাসার সামনের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এসব ঘটনার ফুটেজ রয়েছে। আমি এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। শুধু আমি একা নই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'বন্ধ ক্যাম্পাসে এতগুলো মোটরসাইকেল ঘুরাফেরা করছে, পুলিশ চাইলে এদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারত।'

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রক্টরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রক্টর এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

5h ago