পুলিশ-যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে চাষাঢ়া রণক্ষেত্র

বঙ্গবন্ধু সড়কে সংঘর্ষ শুরু হলেও পরে তা শহরের সলিমুল্লাহ রোড, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে।
ছবি: স্টার

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলছে।

শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সংঘর্ষ শুরু হলেও পরে তা শহরের সলিমুল্লাহ রোড, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে।

একদিকে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে, বিপরীতে ইট-পাটকেল ছুড়ছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরাও। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থী, পথচারী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অন্যতম নেতা ফারহানা মানিক মুনা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংঘর্ষ এড়াতে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিছিলসহ এগিয়ে যাচ্ছিলাম। পুলিশ তখন একের পর এক টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে।'

এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থী, পথচারী, পুলিশ ও সাংবাদিকদের শতাধিক আহত হয়েছেন। ছবি: স্টার

আন্দোলনরত নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী স্বর্ণালী বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ছিলাম। পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও গুলি থেকে বাঁচতে ছোটাছুটি শুরু করি।'

সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে আন্দোলতরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কলেজ রোডের মোড় থেকে একদল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী রাম দা, হকিস্টিক, লাঠিসোটা হাতে মিছিল করতে থাকেন। পরে তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালান।

ত্রিমুখী এ সংঘর্ষের ঘটনায় শহরের দুটি সরকারি হাসপাতালে অন্তত ৬০ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন।

তাদের মধ্যে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাসার।

Comments