বরগুনার তালতলীতে বিএনপির দুইগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৪

বরগুনার তালতলীতে একই সময়ে উপজেলা বিএনপির দুইগ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা শহরের সদর রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই দুটি গ্রুপের একটি নিয়ন্ত্রণ করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক এবং অপরটি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ৩০ জুন শহিদুল হকের বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিকর্মী ও ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুল আলম মামুন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় শহিদুল হকের সমর্থকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। একই সময় মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে একটি দল একই স্থানে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করতে গেলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, 'বিএনপির দুইগ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে নৌবাহিনীর সহায়তায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।'
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন—সিদ্দিকুর রহমান (৩০), শাকিল (২৭), রবিউল মুসুল্লি (২৬), মহসিন খান (২৭), মানু (৪৫), আলাউদ্দিন (৪৫), কবির (৩৫), রহিম (৪০), রুবেল (৩৪), সাহাবিদ খান (৪২), আ. হাই (৫০), সাইদুল (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৪৫), মিজান (২৫)।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সিদ্দিকুর, শাকিল, রবিউল ও মহসিনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তালতলী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়ানো একপক্ষের নেতা মাহবুবুল আলম মামুন বলেন, 'উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি ও এক ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। আমরা উপজেলা বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করি। কর্মসূচি চলার সময় ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা করা হয়।'
তিনি বলেন, 'মো. শহিদুলের বিষয়ে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।'
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শহিদুল হক বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন চলছিল। এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়।'
Comments