যুদ্ধবাজ দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার সুযোগ নেই: বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, 'ইসরায়েল ফিলিস্তিনে দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইনে শিশু-নারী-বয়স্ক মানুষ, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন দূতাবাসে কেউ হামলা চালাতে পারে না। কিন্তু ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ফিলিস্তিনে একের পর এক হামলা ও হত্যা অব্যাহত রেখেছে।'
আজ শনিবার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুরানা পল্টনে আয়োজিত সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ ফিলিস্তিনে হামলা বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করলে সেটাও তারা তোয়াক্কা করছে না উল্লেখ করে নেতারা বলেন, 'অবিলম্বে ইসরায়েলকে জাতিসংঘের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরাইলের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।'
নেতারা আরও বলেন, 'ইসরায়েল গাজাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগারে পরিণত করেছে। গাজাবাসীকে ইসরায়েলের কথায় জীবনযাপন করতে হয়।'
এই বন্দীদশা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে দেশের সব বিবেকবান মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
বাম জোটের নেতারা আরও বলেন, 'বিনা ভোটের সরকার ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া বিরোধীদলগুলো ফিলিস্তিনে ইসরাইল-মার্কিন গণহত্যার বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে। সরকার বলে সব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। কিন্তু দেশের সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধবাজ, সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কোনো সুযোগ নেই।'
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টের (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বক্তব্য দেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা রাশেদ শাহরিয়ার। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন।
একই দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বাম গণতান্ত্রিক জোট ছাড়াও বিভিন্ন সমমনা রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংগঠন, যুব-ছাত্র, পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাবেশ, মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
Comments