জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি, ভারতের দয়ায় নয়: ওবায়দুল কাদের

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে না থাকলে বিএনপি সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভায় বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: বাসস

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে না থাকলে বিএনপি সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে। তাদের অতীতের ইতিহাস তাই বলে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত। বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে যদি ছেড়ে দেই, তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যা হয়। সেজন্য আমাদের মাঠে থাকতে হয়।'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের সুরক্ষার জন্যই আওয়ামী লীগকে মাঠে থাকতে হয়। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যটাই বিএনপির রাজনীতি। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি সুযোগ পেলেই ফণা তুলে রাষ্ট্র ও জানমালের ক্ষতি করবে।' 

তিনি বলেন, 'ভোটারদের ভয় পায় বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসে না। নির্বাচন নিয়ে তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। আন্দোলন ও নির্বাচন ঠোকাতে ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পায়তারা করছে। এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'যারা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে পারে, তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে।'

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র আছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কোন সংঘাতে জড়াব না।' 

বিএনপি আমলে কোন স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, কোনো ধরনের ক্যাজুয়্যালিটি ছাড়া? এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এবারের উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কোনো ধরনের সংঘাত হয়নি। এর কৃতিত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে।'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'এবারে যে ভোট পড়ছে, খুব ভালো ভোট পড়েছে তা বলব না, মোটামুটি পড়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপির ভোট বর্জনকে প্রত্যাখ্যান করে দলটির অনেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলটিতে কারও কথা কেউ শোনে না। ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি কোনো কিছু আদায় করতে পারবে না। মুখে ফুলঝুরি ছড়ালেও ভেতরে তারা হতাশ। যতদিন তারা ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরে না আসবে ততদিন তারা জনবিচ্ছিন্ন থাকবে।'

ওবায়দুল কাদের জানান, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেছেন যে, দেশের জনগণকে নয়, পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করে টিকে আছে আওয়ামী লীগ। ভারত আমাদের প্রতিবেশী পরীক্ষিত বন্ধু। নির্বাচনের সময় তারা কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতেই টিকে আছি। ভারতের দয়ায় নয়। পঁচাত্তরের পর কত বছর ক্ষমতায় ছিলাম না, তখন কি ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিল?

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago