দেড় মাস দেখলাম, বাকি সময়েও জনগণের কথা সরকারের কানে যাবে না: ফারুক

দেড় মাস দেখলাম, বাকি সময়েও জনগণের কথা সরকারের কানে যাবে না: ফারুক
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

সরকার চায় না বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাকুক মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দেড় মাস দেখলাম, মনে হলো বাকি সময়েও জনগণের কথা তাদের কানে যাবে না।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ফারুক বলেন, 'গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারকে বলে আসছি, গরিব মানুষ যাতে পেট ভরে খেতে পারে, সচ্ছল মানুষ যেন রোজার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কিনতে পারে। সরকার কর্ণপাত করে না, নিজেদের হালুয়া রুটি-ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য যা যা দরকার তাই করে।

'কারণ তারা চায় না বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাকুক, তারা চায় না বাংলাদেশের মানুষ পেট ভরে দুবেলা ভাত খাক। তারা শুধু চায় এমন একটি নির্বাচন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য তৈরি করা হবে—যারা ব্যবসাবান্ধব হবে। ব্যবসায়ী হবে, সরকারকে টাকা দেবে,' বলেন তিনি।

ফারুক বলেন, 'এমন সরকারের কাছে আমরা দাবি পেশ করি এই জন্য যে, আমরা জনগণের দল, আমরা জনগণের কথা বলি। জনগণের জন্য আমরা রাস্তায় মিছিল করি।'

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দেড় মাস অতিবাহিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই সরকারের কার্যক্রম দেখে মনে হলো, আগামী যে কদিনই তারা ক্ষমতায় থাকুক, জনগণের কথা তাদের কানে যাবে না। তারা মেগা প্রকল্পের কথা বলবে, তারা উন্নয়নের কথা বলবে। যেখানে টাকা পাওয়া যায়, যেখানে উন্নয়নের নামে টাকা চুরি করা যায়, সেই কথাগুলো সরকার বলবে—জনগণের, গরিবের কথা তারা শুনতে চায় না।'

এই বিএনপি নেতা বলেন, 'আমরা খাতায় লিখে রাখছি, হিসাব-নিকাশ আমাদের কাছেও আছে। ১৫ বছর অত্যাচার করেছেন, জেলখানায় ১৫ জনকে মেরে ফেলেছেন, অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করেছেন, ২৯ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পুরেছেন। সব কিছু আমাদের মনে আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'সামনে সুদিন আসবে। রাস্তায় লড়ব, গণতন্ত্র আনব।'

Comments

The Daily Star  | English
child victims of July uprising Bangladesh

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

11h ago