আজকে মানুষ বাজার করতে না পেরে ঘরে ফিরে যায়: মঈন খান

আজকে মানুষ বাজার করতে না পেরে ঘরে ফিরে যায়: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, আজকে মানুষ বাজার করতে না পেরে ঘরে ফিরে যায়।

জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, 'শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঐক্যের রাজনীতি করেছেন। বিভাজনের রাজনীতি করেন নাই, যেটা আজকে আওয়ামী লীগ করছে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে বিভাজনের কোনো স্থান নেই। সরকার ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি-বিপক্ষের শক্তি বলে বিভেদ সৃষ্টি করে এই দেশকে শাসন করে যেতে চায়। তারা নিজেদের ক্ষমতার লোভে এই জাতিকে বিভাজনের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিচ্ছে।'

বাংলাদেশে কোন জিনিসের দাম আজকে বাড়েনি? সব জিনিসের দাম আকাশচুম্বী, মানুষের জীবন ত্রাহি ত্রাহি। আজকে মানুষ বাজারে গিয়ে বাজার করতে না পেরে ঘরে ফিরে যায়।'

রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বুভুক্ষু মানুষের হাহাকার, গাড়ির পাশে এসে দাঁড়ায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'সরকার এগুলো দেখতে পায় না। কারণ সরকার দেখতে পায় কানাডার বেগম পল্লী, মধ্যপ্রাচ্যের গুলশান থ্রি, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম।'

তিনি বলেন, 'আজকে আমাদের এই প্রত্যাশা, সরকার ক্ষমতার মোহ থেকে বেরিয়ে আসুক, তারা জনগণের রাজনীতি করুক—যে উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা পাকিস্তানের ২২টি ধনী পরিবারের জন্য বাংলাদেশ সৃষ্টি করি নাই। এই সরকার আজকে তার পরিবর্তে, বাংলাদেশে ২২০টি পরিবার সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের পরিবর্তে একটি অলিগার সৃষ্টি করেছে। যেখানে তারা কিছু মুষ্টিমেয় লোক বাংলাদেশের সব সম্পদ কুক্ষিগত করে ফেলেছে। লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago