আওয়ামী লীগের অগ্রাধিকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দুর্নীতি দমন
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের খসড়া তৈরির সঙ্গে জড়িত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।
দলটি আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে, যা গত বছরের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে গৃহীত ঘোষণায়ও উল্লেখ করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক গত জানুয়ারিতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, দলের পরবর্তী ইশতেহারে প্রধানত ২০২২ সালের ঘোষণায় নির্ধারিত প্রধান লক্ষ্যগুলো একত্রিত করা হবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বেকারত্বের হার ছিল তিন দশমিক ৫৩ শতাংশ। আবারও ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হবে এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো।
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করবে।
আগামী ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহারের খসড়া তৈরির সঙ্গে জড়িত একাধিক নেতা ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, নতুন ইশতেহারটি দলের ২০২২ সালের ঘোষণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্মার্ট নাগরিকত্ব, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ তৈরির মাধ্যমে দেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্টে রূপান্তর করার প্রতিশ্রুতি দেবে।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও দিতে পারে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে এবং আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান কমানোর উদ্যোগ নিতে পারে। দলটি ব্যাংক ও আর্থিক খাতের জন্য সংস্কার প্রস্তাবের অঙ্গীকার করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করবেন।
সূত্রের খবর, আওয়ামী লীগ এবার পুস্তিকার বদলে ম্যাগাজিন আকারে ইশতেহার ছাপাবে।
আওয়ামী লীগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো এবং কৃষিকাজ ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিতে পারে।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জবাবদিহিতা এবং সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলও তাদের এজেন্ডায় থাকবে।
প্রশাসনে দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ, ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের প্রতিশ্রুতি দেবে দলটি।
সব স্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের বিষয়টিও ইশতেহারে গুরুত্ব পেতে পারে।
দলটির আরেকটি লক্ষ্য হবে আরও এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা এবং জাতীয় ও প্রধান সড়ক প্রশস্ত করা, যাতে যোগাযোগ দ্রুততর হয়। একই সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে।
আগামী সাত বছরে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর, নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল, গাবতলী থেকে কাঁচপুর সেতু, কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ এবং সাভার থেকে ভাটারা পর্যন্ত মেট্রোরেল সার্ভিস চালু করা হবে।
ক্ষমতায় গেলে দলটি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে সাশ্রয়ী প্রযুক্তি চালু করবে।
দলটি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অপপ্রচার এবং ভুল উপস্থাপনের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতিও দেবে।
তথ্যের অবাধ প্রবাহ সমুন্নত রাখতে এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলা ও মিথ্যা মামলা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতির পিতার পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে তাদের বিরুদ্ধে সাজা কার্যকর করা হবে।
আওয়ামী লীগ পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে এবং আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান কমানোর উদ্যোগ নিতে পারে।
দলটি ব্যাংক ও আর্থিক খাতের জন্য সংস্কার প্রস্তাবের অঙ্গীকার করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
Comments