জাপাকে ৩০ আসনে ‘ছাড় দিতে পারে’ আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনে তাদের প্রার্থী প্রত্যাহারের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে, যাতে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীদের ক্ষমতাসীন দলটির প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না হয়।
তবে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ৪০টি আসনে সহজ জয়ের দাবি করেছে বলে গতকাল শুক্রবার রাতে দুই দলের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানিয়েছে।
বহুল আলোচিত এ ইস্যুতে আওয়ামী লীগ নেতারা দলের সভাপতি শেখ হাসিনার মতামত জানতে আজ তার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে উভয় দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে।
সভাপতি নির্দেশনা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও জাপা নেতারা চূড়ান্ত বৈঠক করে আজ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল এবং জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেন।
জাপার অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানো না গেলে সেটির দায় নিতে না চাওয়ায় দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বৈঠকে অংশ নেননি।
গতকাল রাতের বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য জাপার বেশ কয়েকজন কো-চেয়ারম্যান চুন্নুর বাসায় বৈঠক করেন।
জাপার একজন নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাদের প্রত্যাহারের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলটি রাজি হয়নি। এর অর্থ জাপা নেতাদের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
আওয়ামী লীগও চায় জাতীয় পার্টির ২৯০ জন প্রার্থীর সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, যাতে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়।
বর্তমান সংসদে জাতীয় পার্টির ২৭ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন।
আগামীকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হওয়ায় আজই এই বিষয়টি চূড়ান্ত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ইতোমধ্যে যথাক্রমে ২৯৮ ও ২৮৭ আসনে তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি, যেখানে নির্বাচন করেছে জাপা প্রার্থীরা।
Comments