যেটা হচ্ছে সেটা নির্বাচন নয়, বানরের পিঠা ভাগাভাগি: মঈন খান

‘আমরা চাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক সংঘাতময় অচলাবস্থার শেষ হোক।’
যেটা হচ্ছে সেটা নির্বাচন নয়, বানরের পিঠা ভাগাভাগি: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আসন ভাগাভাগির মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল আগেই নির্ধারণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, যেটা হচ্ছে সেটা নির্বাচন নয়, বানরের পিঠা ভাগাভাগি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, 'আমরা স্বাধীনতার পর পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে এসে আজকে যেখানে দাঁড়িয়েছি সেখানে আমরা একই ঘটনা দেখছি। এখানে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই, এখানে মানুষের ভোটের অধিকার নেই, এখানে গণতন্ত্র নেই, এখানে একদলীয় শাসন কায়েম হয়েছে। এখানে রাতে ঘরে কোনো মানুষ থাকতে পারে না। এখানে ভিন্ন মতের কথা কেউ বলতে পারে না।'

তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'এখানে মানুষ গুম হচ্ছে, রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা করা হচ্ছে এবং এখানে মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাজেই আজকে আমরা জনগণকে নিয়ে একটি উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করছি। এই সংগ্রাম ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়।'

জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'এই সরকারের নৈতিক পরাজয় ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তারা হয়তো বুলেট, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করতে পারে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিগত দেড় বছর যাবত প্রতিবাদ করে এসেছি। এই প্রতিবাদ আমরা রাজপথে থেকে করে যাব—বাংলাদেশে কোনো একদলীয় সরকার থাকতে পারবে না।

'গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষ যেখানে যাকে খুশি তারা ভোট দেবে। এখানে দিনের ভোট রাতে হতে পারবে না। এখানে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের অন্তরের কথা,' যোগ করেন তিনি।

মঈন খান আরও বলেন, 'আমরা চাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক সংঘাতময় অচলাবস্থার শেষ হোক।'

এ সময় সরকারকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা যদি সেই নির্বাচনে জয়লাভ করেন, আমি সর্ব প্রথম আপনাদের অভিনন্দন জানাব।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের বাস্তবতা আজকে ভিন্ন। আপনারা মানুষকে ভয় পান। মানুষের ভোটকে আপনারা ভয় পান। সে জন্য আজকে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে আপনারা ভোট ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত। আজকে এখানে যেটা হচ্ছে সেটা নির্বাচন নয়। সেটা হচ্ছে বানরের পিঠে ভাগাভাগি। সেই কাজগুলো আপনারা প্রকাশ্যে করছেন। আপনারা জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন। যে দেশ গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন হয়েছিল, সেই দেশে এই নির্বাচনের প্রহসন চলতে পারে না।'

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, '৭ জানুয়ারির যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা কোনো নির্বাচন নয়। আপনারা প্রতিদিন পত্রিকায় দেখছেন এখানে ভোট ভাগাভাগি চলছে। এখানে যেটা চলছে তাতে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, নির্বাচনের ফলাফল ঢাকায় বসে নির্ধারণ করা হচ্ছে। ৭ তারিখে কোনো নির্বাচন হবে না। আজকে আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, রাজধানীতে ভোটের সিট ভাগাভাগি করে ফলাফল নির্ধারিত হচ্ছে সেটা ৭ তারিখে শুধুমাত্র ঘোষণা করা হচ্ছে।

'৭ তারিখে কোনো নির্বাচন হবে না, সেটা আজকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

13h ago