আমিনবাজারে পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপির মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
সরকার পতনের 'এক দফা' দাবিতে ঢাকার প্রবেশমুখ আমিনবাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিএনপির সমাবেশের জন্য নির্ধারিত স্থানে তৈরি করা মঞ্চ রাতের অন্ধকারে পুলিশের উপস্থিতিতে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ করছে দলটি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, আজ সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে মঞ্চটি ভেঙে ফেলা হয়।
সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমিনবাজারে মঞ্চ তৈরি করা হলেও আজ ভোররাতে আওয়ামী লীগের কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা সেটি ভেঙে দিয়েছে।'
আজ সকালে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় বিএনপির সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা যায়, ছোট মাঠটিতে শুধু কয়েকটি বাঁশ পড়ে আছে, কোনো মঞ্চ নেই।
ওই এলাকার স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রাত দুইটা পর্যন্ত কাজ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে মঞ্চ তৈরি করেছিলেন। ভোর চারটার দিকে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কিছু লোক এসে এক্সক্যাভেটর দিয়ে মঞ্চটি ভেঙে নিয়ে যায়।
ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে সমাবেশের মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আজ সমাবেশ হবে না বলে সিনিয়র নেতাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি।'
আজ সকাল থেকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমাবেশস্থলে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ব্যাপক সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত সমাবেশস্থলে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়নি।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ আমাদের তৈরি করা মঞ্চটি ভেঙে দিয়েছে। সকালে এসপি সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, একই জায়গায় আওয়ামী লীগও সমাবেশ করতে চাচ্ছে। তাই তারা প্রোগ্রাম করতে দিবেন না।'
তিনি দাবি করেন, 'আমরা চারদিন আগে প্রোগ্রাম করার অনুমতি পেয়েছিলাম। যেহেতু আমাদের মঞ্চটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, তাই দুপুর তিনটার দিকে পার্টি অফিসে সভা ডেকেছি। আগামীকাল অথবা ২৮ সেপ্টেম্বর আমরা প্রোগ্রাম করবো। আজ সমাবেশ হচ্ছে না।'
পুলিশের উপস্থিতিতে মঞ্চ ভাঙার অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহেল কাফী বলেন, 'অভিযোগটি সত্য নয়।'
তিনি বলেন, 'বিএনপির সমাবেশের কোনো অনুমতি ছিল না। তাছাড়া একইস্থানে আওয়ামী লীগও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে—এই আশঙ্কা থেকে এখানে আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।'
Comments