পটুয়াখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১৩

দশমিনা
শুক্রবার দুপুরে দশমিনা উপজেলা শহরের পুজাখলা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা শহরের পুজাখলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ মোট ১৩ জন আহত হয়েছেন। 

দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম শানু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করতে শহরের খানকার মাঠ এলাকা থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি দশমিনা আদালতের সামনে পৌঁছালে এসআই মেহেদীর নেতৃত্বে পুলিশ বাধা দেয়। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়।'

পরে আমাদের মিছিল সামনে এগিয়ে যায়। মিছিল পুজাখলা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে এসে মিছিলে হামলা চালায় পুলিশ। আমি নেতাকর্মীদের শান্ত করেছি তবে পুলিশের বেপরোয়া মারধরে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। পরে নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে,' বলেন তিনি।

সংঘর্ষে তাঁতিদলের ইব্রাহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সায়াদ রনি, আবদুর রহিম, আক্কাস, আবু তাহের, সুজন ও শান্তসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে পটুয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার (গলাচিপা সার্কেল) মো. মোরশেদ তোহা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির ৩ শতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে পুজাখলা এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে বাউফল উপজেলার সঙ্গে দশমিনার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে পুলিশ। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।'

ইটের আঘাতে কনস্টেবল নাজমুল, জাকির ও সিকাতুর আহত হন বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ।'

বিএনপির ২ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান সহকারী  পুলিশ কমিশনার।

Comments

The Daily Star  | English

Trump brokered ceasefire agreement in contact with Israel, Iran: White House official

Meanwhile, fresh series of explosions were reported in the Iranian capital Tehran, as per AFP journalist

1d ago