পেনশন স্কিমের নামে সরকার নির্বাচনী ফান্ড তৈরির ফন্দি করছে: মির্জা ফখরুল

দয়াগঞ্জে বিএনপির গণমিছিলের আগে সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল। ছবি: সংগৃহীত

পেনশন স্কিমের নামে সরকারের নির্বাচনী ফান্ড তৈরির ফন্দি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শুক্রবার রাজধানীর দয়াগঞ্জে বিএনপি আয়োজিত গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আওয়ামী লীগ লুট করে শেষ করে দিয়েছে বাংলাদেশকে। আবার নতুন আরেকটি কায়দা বের করেছে। পেনশন দেবে, পেনশন স্কিম। মানুষের টাকা চুরির আরেকটা ফন্দি বের করেছে।'

'ওই টাকা চুরি করে তারা নির্বাচন করতে চায়। মানুষ এবার তাদের দেবে না,' বলেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'পরিষ্কার কথা ১৮ কোটি মানুষের দাবি ভালোয় ভালোয় শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় হন। অন্যথায় এ দেশের মানুষ জানে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী ডিক্টেটরকে কীভাবে সরাতে হয়।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'ভয়ে এখন মুখ শুকিয়ে গেছে। টেলিভিশনে দেখবেন এখন আগের মতো হাসি নাই। আবার ‍যাদের বিদেশে বাড়িঘর আছে, তাদের কেমন করে বাঁচাবে তার চেষ্টা করছে।'

'ইতোমধ্যে দেখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি করেছে। সেখানে বলেছে যে যারা অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে,' বলেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমাদের পুলিশ কথায় কথায় রাতের অন্ধকারে আমাদের ছেলেদের গ্রেপ্তার করে। আপনাদের ৯ জন বড় অফিসার এখন আমেরিকা যেতে পারে না। তারা যে সহায়-সম্পদ তৈরি করেছিল বিদেশে, সেগুলোর কী হবে তার জন্য রাতে ঘুম হয় না।'

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'অবস্থা এখন আরও খারাপ। আমেরিকান নাগরিক, বিভিন্ন সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা এখন তাদের সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বলতে শুরু করেছে যে বাংলাদেশের ওপরে একটা শুনানি হোক। এদেরকে আবার নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হোক।'

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফার দাবিতে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে দয়াগঞ্জ থেকে বিকেল ৪টায় গণমিছিল শুরু হয় এবং খিলগাঁও চৌরাস্তায় এসে শেষ হয়।

একই সময়ে মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে গুলশান-১ থেকে মিছিল শুরু হয়ে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। 

উত্তরের গণমিছিলের আগে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, 'আমাদের গ্রেপ্তার করে, মামলা দিয়ে, হয়রানি করে আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। আমাদের আর ভয় পাই না, দেশের মানুষ গুম-হত্যাকে ভয় পায় না।'

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

9h ago