নয়াপল্টনে রাতভর মহাসমাবেশের প্রস্তুতি বিএনপির

নয়াপল্টন
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৮টি ট্রাক পাশাপাশি রেখে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মঞ্চসহ সমাবেশস্থলে প্রস্তুতির কাজ চলতে দেখা যায়। প্রায় শ'খানিক নেতাকর্মী প্রস্তুতির কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

সে সময় নয়াপল্টনে কোনো শ্লোগান শোনা যায়নি। দেখা যায়নি কোনো পুলিশ সদস্যকেও। সড়কের মধ্যে যান চলাচলেও কোনো বাধা দেখা যায়নি।

মহাসমাবেশের জন্য বিএনপিকে পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং থেকে নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থান ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

নয়াপল্টনে সন্ধ্যা থেকে নেতাকর্মীদের ভিড় থাকলেও, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন। ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল। রাতেও কয়েকশত নেতাকর্মীকে নয়াপল্টন সড়কের বিভিন্ন স্থানে, ডিভাইডারে ব্যানার-ফেস্টুন টাঙাতে দেখা যায়। 

বিকেল থেকে ওই এলাকায় পুলিশের অবস্থান ছিল। পরে রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নয়াপল্টন এলাকা ত্যাগ করার অনুরোধ জানায় পুলিশ।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দও কর্মীদের ওই এলাকা ত্যাগ করার অনুরোধ জানায়।  ১০টার মধ্যে অনেক কর্মী চলে গেলেও, সমাবেশস্থল প্রস্তুতির কাজে অংশগ্রহণকারী কয়েকশ কর্মী বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পরে পুলিশও ওই এলাকা থেকে চলে যায়।

এর আগে রাত ১০টার দিকে ৮টি ট্রাক পাশাপাশি রেখে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়।

রাত ৯টার দিকে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের নয়াপল্টন এলাকা ত্যাগ করতে অনুরোধ করে। ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে সমাবেশস্থলে প্রস্তুতির কাজ তদারকি করতে দেখা যায়।

সেখানে কথা হয় রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমেদের সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা প্রায় দেড়শ কর্মী কাপ্তাই থেকে ২ দিন আগে ঢাকায় এসেছি মহাসমাবেশে যোগ দিতে। আজ সারাদিন সবাই পল্টনেই ছিলাম। পরে রাতে অনেকেই চলে গেছে হোটেলে কিংবা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাসায়। কয়েকজন আছি এখানে প্রস্তুতির কাজে সহযোগিতা করছি।'

রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে দেখা হয় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলকর্মী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। জানালেন কুলাউড়া থেকে তারা ১৫ জন নেতাকর্মী ২ দিন আগে ঢাকায় এসেছেন মহাসমাবেশে যোগ দিতে। রাতে তারা নয়াপল্টনেই থাকবেন বলে জানান।

এর আগে গত শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির 'তারুণ্যের সমাবেশ' থেকে বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশ হবে বলে ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির চাওয়া ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করার। দিনটি 'কর্মদিবস' উল্লেখ করে এ দুই ভেন্যুতে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।

পরে বুধবার রাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার করার ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।

এদিকে, একইদিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে 'শান্তি সমাবেশ' করবে আওয়ামী লীগের ৩ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

তারাও আগে বৃহস্পতিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও, পুলিশের অনুমতি না পেয়ে পরে তারিখ পরিবর্তন করে।   

 

Comments

The Daily Star  | English
tailor injured during July mass uprising fights for dignity

Is respect too much to ask for?

Rasel Alam, 36, a tailor from Mohammadpur, has been fighting two battles since the July mass uprising -- one for his health and another for his dignity.

19h ago