পটুয়াখালী

আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ মামলায় আসামি বিএনপির প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী

গত ২০ মে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে ৪৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করে ৪৯৫ বিএনপি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক রায়হান হোসেন বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০০ জন অজ্ঞাতনামা বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে গতকাল শনিবার রাতে একটি মামলা করেছেন।

অপরদিকে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে আজ সকালে পটুয়াখালী থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২৫০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর নামে আরেকটি মামলা করেন।

পটুয়াখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, মামলা দুটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, মামলায় রায়হান হোসেন উল্লেখ করেন শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ চত্বর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগদানের জন্য সবুজবাগ এলাকায় যাওয়ার পথে কলেজ রোড এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। রায়হান হোসেনের মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনকে। এ ছাড়া মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ বিএনপি নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

অপরদিকে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিনের দায়েরকৃত মামলায় বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে পটুয়াখালী পৌরসভা চত্বরে শনিবার বেলা ১০টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের মিছিলে হামলা চালায়। মামলায় পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি জানান, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়ে সমাবেশটি পণ্ড করে দেয়। এতে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আমাদের কোনো লোক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেনি।

'আমরাও আমাদের সমাবেশে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি,' বলেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Beyond development paradox & unnayan without democracy

As Bangladesh seeks to recalibrate its path in the aftermath of recent upheavals, the time is ripe to revisit an oft-invoked but under-examined agenda: institutional reform. Institutions are crucial to understand, as they are foundational for governance, transformation, and economic development.

17h ago