বাউফলে আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, চেয়ারম্যান-ওসিসহ আহত ৫০
পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার ও বাউফল থানার ওসি আল মামুনসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
ওসি আল মামুন নিজেই সংঘর্ষের তথ্য দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ এবং বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদারের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত। এ বিভক্তির জেরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারকে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আল মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে বাউফল শহরের প্রধান সড়কে একটি মিছিল বের হয়। সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের সমর্থকরা অবস্থান করছিল। পুলিশ মিছিলটিকে এগিয়ে যেতে নিষেধ করে। কিন্তু তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।'
এ সময় উভয় পক্ষ লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং পরে ২০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোঁড়ে।
ওসি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি মিছিল বের করা হলে তাতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের লোকজন হামলা করে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও, তিনি রিসিভ করেননি।
Comments