নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি নিয়ে ‘নিশ্চুপ’ বিএনপি
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে 'নিশ্চুপ' বিএনপি।
আজ বুধবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বিএনপির অভিমত জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'গত প্রেস ব্রিফিংয়েও আপনারা এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। আমি একই জবাব দেবো। এই বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। আমাদের কোনো আগ্রহও নেই। ব্যাখ্যাও দিতে চাই না।'
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় গত সোমবার মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আজ এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, 'দেশের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ ও অক্ষম সরকারের পরিবর্তন চায় বলেই বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ-মিছিলে জনগণ সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। মামলা, নির্যাতন অগ্রাহ্য করতে সাহসী হয়েছে এবং বিজয়ের লড়াইকে বেগবান করেছে।'
'কিন্তু ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে ক্রমাগত দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে। বিরোধী দল সচেতনভাবে এসব প্ররোচণার ফাঁদে পা না দেওয়ায় সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতারা হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল কথা বলে লোক হাসাচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন ইউনিয়নে পদযাত্রাকে বিভিন্ন জায়গায় ওরা বাধা দিয়েছে। তার অর্থ কী? আমাদের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে রাস্তায় নেমেছে।'
'আওয়ামী লীগ যে পাল্টা শান্তি সমাবেশ করার কথা বললো, কয়টা ইউনিয়নে তারা শান্তি সমাবেশ করেছে? তারা তো শান্তি সমাবেশ করতে পারিনি। এই পাল্টা কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ হচ্ছে যে, তারা দুর্বল, তারা দৈন্যদশায় পড়েছে এবং আবোল-তাবোল কর্মসূচি দিচ্ছে।'
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিতি ছিলেন।
Comments