রাজনীতি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে নরসিংদীতে গণমিছিল, আটক ১৭

নরসিংদীতে বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে গণমিছিল করেছেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কার্যালয় থেকে ১ কিলোমিটার দূরের চিনিশপুর কালীবাড়ি এলাকার সড়কে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেন। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে গণমিছিল করেছেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

তবে গণমিছিলের আগে ও পরে ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৭জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে নরসিংদী সদর থানার পুলিশ।

আজ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে গণমিছিল শুরুর কথা থাকলেও জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন মোড়ে পুলিশি বাধার কারণে নির্ধারিত স্থানে কর্মসূচি পালন করতে পারেননি নেতাকর্মীরা।

পরে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কার্যালয় থেকে ১ কিলোমিটার দূরের চিনিশপুর কালীবাড়ি এলাকার সড়কে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকেল ৩টায় চিনিশপুরের জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকেও জানানো হয়েছিল। মিছিলে অংশ নিতে দুপুর থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের উপজেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।

এ সময় বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন মোড়, জেলাখানার মোড় ও গ্যাস অফিস মোড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সেখানে পুলিশ চৌকি বসিয়ে নেতাকর্মীদের তল্লাশী করে এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে।

জানতে চাইলে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, 'তল্লাশী চালিয়ে মোট ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশের বিরুদ্ধে আগে থেকেই নাশকতাসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। ওই মামলাগুলো যাচাই-বাচাই করে আটক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।'

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর নেতৃত্বে গণমিছিল কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ, দ্বীন মোহাম্মদ দীপু, গোলাম কবির কামাল ও ফারুক উদ্দিন ভূঁইয়া।

এতে বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

গণমিছিলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহী বলেন, 'আমাদের সংগ্রামী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ সারাদেশের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আপনারা মিথ্যা, গায়েবী ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করেছেন। যদি তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া না হয় ও তাদের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে। এছাড়াও ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে নরসিংদীতে বিএনপির যত নেতাকর্মীকে মিথ্যা, গায়েবী ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদেরও অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।'

Comments